Shahjahan Sheikh: তবে কি ২৯ তারিখ কলকাতায় শাহজাহান? তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে জল্পনা
Shahjahan Sheikh: বুধবার সন্দেশখালিতে তৃণমূলের একটি সভা ছিল। সেই সভা থেকে শাহজাহানকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন সুকুমার মাহাতো। বলেন, রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে। এর প্রেক্ষিতে ঠিক কী বোঝাতে চাইলেন সেই উত্তরও উনিই ভাল দেবেন। তবে আগামী ২৯ তারিখ শাহজাহান যে হাজিরা দেবেন তা নিয়ে কার্যত আশাবাদী তিনি।
সন্দেশখালি: ২৯ জানুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে কলকাতায় ইডি দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে তাঁর বাড়ির দরজায় একটি পোস্টার সেঁটে দিয়েছে গিয়েছেন গোয়েন্দারা। এখন প্রশ্ন বেপাত্তা এই তৃণমূল নেতা আদৌ কি সোমবার ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন? সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর বক্তব্য, শাহজাহানের হাজিরার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
বুধবার সন্দেশখালিতে তৃণমূলের একটি সভা ছিল। সেই সভা থেকে শাহজাহানকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন সুকুমার মাহাতো। বলেন, “রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে”। এর প্রেক্ষিতে ঠিক কী বোঝাতে চাইলেন সেই উত্তরও যদিও তৃণমূল নেতাই ভাল দেবেন। তবে আগামী ২৯ তারিখ শাহজাহান যে হাজিরা দেবেন তা নিয়ে কার্যত আশাবাদী তিনি। তৃণমূল এই বিধায়কের দাবি, শাহজাহানের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই। তাই উনি নিশ্চয়ই সহযোগিতা করবেন। তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, “ইডি আজও কিছু পায়নি। আগের দিন তল্লাশি করলেও কিছুই পেত না। আমার মনে হয় ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করলে ভালই হবে। শাহজাহানের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই। তাই উনি নিশ্চয়ই সহযোগিতা করবেন।” অর্থাৎ, তৃণমূলের দাবি, শাহজাহানের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ হাতে পাননি গোয়েন্দেরা। উনি নির্দোষ। তাই উনি সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতেই পারেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি ইডি, সিআরপিএফ জওয়ানদের হামলার ঘটনায় পাল্টা যুক্তির ঢাল সাজাতে গিয়ে ইডি সমন না করে কেন একেবারে বাড়িতে হাজির হল সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন শাহজাহানের অনুগামীরা। শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীরের বক্তব্য ছিল, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে বাকিদের মতো শাহজাহানকে কেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হল না? শাহজাহানকে বারবার ডেকে পাঠানোর পরও যদি তিনি ইডির ডাকে সাড়া না দিতেন তাহলে ৫ জানুয়ারির অভিযানের যৌক্তিকতা মানা যেত। কিন্তু তেমন তো কিছু হয়নি। বিনা তলবে অভিযানের কারণেই অনুগামীরা প্রথম দফার অভিযানে উত্তেজিত হয়ে পড়েন বলে বক্তব্য ছিল শাহজাহান সমর্থকদের। স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠছে, এবার তো সমন করা হল। শাহজাহান কি এবার হাজিরা দেবেন?