Sandeshkhali: এবার প্রকাশ্যে হাড়হিম করা বয়ান! সন্দেশখালির শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলা সেই মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে
Sandeshkhali: সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি শিবু হাজরা ও জেলা পরিষদের সদস্য উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে যে মহিলা মুখ খুলেছিলেন, তাঁর গোপন জবানবন্দি নিয়ে বসিরহাট মহকুমা আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এসবের মধ্যেও আতঙ্কিত মহিলারা।
সন্দেশখালি: রাতে মিটিংয়ের নামে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হত দলীয় কার্যালয়ে। আর সেখানেই নিগ্রহ। সন্দেশখালির মহিলাদের ভয়ঙ্কর অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট। প্রশাসনও কড়া ভাবে বিষয়টির তদন্ত করছে। এবার সন্দেশখালিতে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলা মহিলা দিলেন গোপন জবানবন্দি। আর তা দিতে গিয়েই ব্যাপক আতঙ্কে মহিলা। গোপন জবানবন্দি দিতে অভিযোগকারিনীর সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হল আরও ৯ মহিলাকে। সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি শিবু হাজরা ও জেলা পরিষদের সদস্য উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে যে মহিলা মুখ খুলেছিলেন, তাঁর গোপন জবানবন্দি নিয়ে বসিরহাট মহকুমা আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এসবের মধ্যেও আতঙ্কিত মহিলারা। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যপালের কাছে তাঁরা যাঁদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন, তাতে কিন্তু তাঁদের বিপদ আরও বেড়েছে।
গোপন জবাবনবন্দি দিতে যাওয়ার পথে TV9 বাংলার ক্যামেরার সামনে হাড়হিম করা কথা বললেন ওই মহিলা। তিনি বলেন, “পুলিশ আমাকে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার জন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ বলল, এখানে বললে, আর আমাকে ভরা কাঠগড়ায় কারোর সামনে কিছু বলতে হবে না। আমরা ভরসা করে যাচ্ছি। কিন্তু বুকটা ঢিপ ঢিপ করছে। কী হবে জানি না।” কিন্তু গ্রামের মহিলাদের এখনও কোনও নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হয়নি বলে অভিযোগ।
ওই মহিলা আরও বলেন, “এতদিন ধরে অনাচার চলেছে। এবার আমরা গ্রামের মহিলারা এক জোট হয়ে আন্দোলনে নেমেছি। কিন্তু তাতে আমাদের পরিবারকেই হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি আন্দোলনে নেমেছি বলে আমার ভাই-আমার বাবাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাড়িঘর ভাঙার হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে।”
এবিষয়ে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ওদের অভিযোগ ছিল, তারা অনেক দিন ধরে নির্যাতিত হচ্ছে। নির্যাতনের মাত্রা সম্পর্কে বলতে গেলে তারা বলে, নেতারা রাতে তাদের ব্যক্তিগত কাজের জন্য ডেকে পাঠান। সেটা না গেলে তাদের ওপর অত্যাচার হয়।”
ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্র বলেছেন, “চারটে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ওঁদের যেটা মনে হয়েছে, সেটা লিখেছেন। কাউকে মারধর করা হয়েছে, বেশিরভাগই ভয় দেখানো হয়েছে। ওদের নানারকমভাবে ভয় দেখানো হত।”