Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ভোটের দিন ওই ঘরে কী চলত, ফাঁস করলেন ভোটাররাই…
Sandeshkhali: পুকুরপাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, "শাহজাহানের সাজা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ভয় আছে। আমরা আজ আনন্দ করছি ঠিকই, কিন্তু এটা এখনও দীর্ঘস্থায়ী বলতে পারব না। ভোট দিতে পারতাম না। ওরাই বলে যেত ভোট দিতে যাও আর না যাও ভোট পড়ে যাবে। গেলে ওদের ভোট না দিলে অত্যাচার করবে। আমরা যে দেশের নাগরিক, আমরা যে নিজেদের পছন্দের কাউকে ভোট দেব, সেই অধিকারও ছিল না। দু'টো পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি।"
সন্দেশখালি: গ্রেফতার হয়েছেন শেখ শাহজাহান। তিনি নাকি সন্দেশখালির ‘বাদশা’। যাঁর একটা হুঙ্কারে সন্দেশখালিতে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায়। অভিযোগ এই শাহজাহান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের দাপটের কারণে বছরের পর বছর এখানে মানুষ ভোট দিতে পারতেন না। তাঁদের অভিযোগ, কেউ ৩ বছর, কেউ ১০ বছর আবার কেউ ১১ বছর নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। ৫৬ দিনের মাথায় শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের পর কিছুটা আশায় বুক বাঁধছেন সন্দেশখালির মানুষ।
কী হত ভোটের দিনগুলো এই সন্দেশখালিতে? মাঝেরপাড়ার এক মহিলার কথায়, “ভোটের দিন এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতাম। ভোটের ঘরের ভিতরে ঢুকতেই কাগজপত্র নিয়ে নখে কালি লাগিয়ে দিত। এরপরই ভোটের কাগজটা হাত থেকে নিয়ে নিত ওরা। ইভিএমে বোতাম আর টিপতে পারতাম না।”
আরও একটা ভোট আসছে। লোকসভা ভোটে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার ব্যাপারে এবার কিছুটা আশাবাদী তাঁরা। তাঁরা বলছেন, যতদিন না শেখ শাহাজাহানকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, ততদিন তাঁরা একটু ভয় পাচ্ছেন বলেও জানান কেউ কেউ।
পুকুরপাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, “শাহজাহানের সাজা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ভয় আছে। আমরা আজ আনন্দ করছি ঠিকই, কিন্তু এটা এখনও দীর্ঘস্থায়ী বলতে পারব না। ভোট দিতে পারতাম না। ওরাই বলে যেত ভোট দিতে যাও আর না যাও ভোট পড়ে যাবে। গেলে ওদের ভোট না দিলে অত্যাচার করবে। আমরা যে দেশের নাগরিক, আমরা যে নিজেদের পছন্দের কাউকে ভোট দেব, সেই অধিকারও ছিল না। দু’টো পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি।”