Shantanu Thakur: ‘৫ মাসের মধ্যেই পড়বে তৃণমূল সরকার’, শান্তনু-সুকান্তর কথায় কীসের ইঙ্গিত?

Shantanu Thakur: উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার সভা থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, "আমরা দেখেছি, একজন ব্যালট বাক্স নিয়ে দৌড় মেরেছে। একজনকে কাউন্টিংয়ের সময় বাইরে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।"

Shantanu Thakur: '৫ মাসের মধ্যেই পড়বে তৃণমূল সরকার', শান্তনু-সুকান্তর কথায় কীসের ইঙ্গিত?
সুকান্ত মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 16, 2023 | 11:11 PM

গাইঘাটা: পাঁচ মাসের মধ্যে রাজ্যের সরকার পড়ে যাবে। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের দাবি ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তিনি বলেছেন, “কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয়। পাঁচ মাসের মধ্যে তৃণমূল সরকার পড়ে যাবে। গ্যারান্টি দিচ্ছি।”

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার সভা থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা প্রত্যক্ষদর্শী একজন ব্যালট বাক্স নিয়ে দৌড় মেরেছে। একজনকে কাউন্টিংয়ের সময় বাইরে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এভাবে গণতন্ত্র রক্ষা করা যায় না। আর তৃণমূল ভেবে নিয়েছে ওরা চিরস্থায়ী। আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে এদের সরকার পড়ে যাবে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি। এমন পরিস্থিতি হয়ে গিয়েছে যে আগামী পাঁচ মাসে এদের সরকার আর থাকবে না।”

আরও এক ধাপ এগিয়ে শান্তনু ঠাকুরকে সমর্থন করেছেন বিজেপি-র রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, তৃণমূল সরকার যে কোনও সময় পড়ে যেতে পারে। বিধায়করা অন্যদলকে সমর্থন করতেই পারেন। রাজনীতিতে সবই সম্ভব।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “পাঁচ হোক বা ছ’মাস সরকার যে কোনও সময় পড়ে যেতেই পারে। একটি সরকার বিধায়কদের সমর্থনে চলে। হঠাৎ বিধায়করা মনে করলেন আমরা সমর্থন করব না অন্য কাউকে সমর্থন করব। আবার এমন গণ-আন্দোলন শুরু হল যে বিধায়ক হাতজোড় করে তাঁদের পদ ছেড়ে দিলেন। এই সমস্ত কিছুরই সম্ভাবনা রয়েছে।” বিজেপির রাজ্য সভাপতির এ হেন মন্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি দলবদল করতে চলেছে তৃণমূল বিধায়করা? নাকি রাজনৈতিক কোনও অস্থিরতা তৈরি হতে চলেছে বাংলার রাজনীতিতে?

তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেছেন, “এই সব কথা অনেকদিন ধরেই শুনছি। হেরো, দুকান কাটা রাজনৈতিক নেতারা এই কথা বলেন। যাঁরা আপকি বার ২০০ পার বলে ৬০ এর কোটায় চলে এসছিল, যাঁরা সমস্ত নির্বাচনে হারছে। যাঁরা নিজের কেন্দ্রে দলকে যেতে পারে না। ওরা যদি ভাবে বিধায়কদের কিনে নিয়ে সরকার ফেলবে তাহলে মূর্খের স্বর্গে বাস করছে।” এই বিষয়ে কটাক্ষ করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেছেন, “সুকান্তবাবুকে বলব একটা বড় করে গলায় রুদ্রাক্ষের মালা পড়তে এবং একটা কমন্ডুলু হাতে নিয়ে কালীঘাটে বসতে। আমি একটা জায়গা ঠিক করে দিচ্ছি সেখানে বসে ভবিষ্যৎবাণী করুন। ভাল পয়সা রোজগার হবে।”

২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পর যখন ১৮টি আসন বিজেপি-র ঘরে আসে তখনও এই ধরনের কানাঘুষো শোনা যায় যে আর পাঁচ মাস পর তৃণমূল সরকার পড়ে যেতে পারে। এই রব মাঝে মধ্যে ওঠে। রাজনৈতিক মহল বলছে, এই রব বাস্তবে রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এই মুহুর্তে দাঁড়িয়ে ৩৫৫ পক্ষে বেশি সওয়াল করছেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁরা দুর্নীতি-চুরি বিভিন্ন ইস্যুকে হাতিয়ার করছেন। মানুষের গণতন্ত্র কোথায়? ওয়াকিবহালমহলের মতে, প্রশ্নটি হয়ত সঠিক। কিন্তু প্রয়োগ করবে কে? আর প্রয়োগ করতে গেলে যে বিধিনিষেধ প্রয়োজন তা কেন্দ্রীয় সরকারকে করতে হবে। ফলে বিজেপি সরকার কি আদৌ সে পথে হাঁটবে? এই প্রশ্ন কিন্তু রয়েই গিয়েছে।