Sheikh Shahjahan: চেনা গর্জন উধাও, মাথা নীচু করে আদালতে ‘সন্দেশখালির বাদশা’
রেশন্ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের জন্য সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। শাহজাহানের দেখা তো পাননি, উল্টে শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে মার খেতে হয়েছিল ইডিকে। তার পর থেকে অনেক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। শাহজাহান এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীরা বিদ্রোহও করেছেন। এর পর থেকে শুধু রাজ্যে নয়, দেশের রাজনীতিতেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সন্দেশখালি।
বসিরহাট: মাথা নীচু করে আদালতে হাজিরা দিতে এলেন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। তবে রবিবার তাঁকে দেখা যায়নি বাদশাহি মেজাজে। নেই সেই গর্জনও। মাথা নীচু করে এজলাসে হাজির হন তিনি। এই দৃশ্য কিছুটা হলেও অবাক করেছে আদালতে উপস্থিতদের। কারণ রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতারির পরেও শাহজাহানকে দেখা গিয়েছিল নিজের স্বভাবসিদ্ধ ঢঙেই। কিন্তু এ দিন সেই মেজাজে দেখা যায়নি সন্দেশখালির বাঘকে।
রেশন্ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের জন্য সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। শাহজাহানের দেখা তো পাননি, উল্টে শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে মার খেতে হয়েছিল ইডিকে। তার পর থেকে অনেক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। শাহজাহান এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীরা বিদ্রোহও করেছেন। এর পর থেকে শুধু রাজ্যে নয়, দেশের রাজনীতিতেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সন্দেশখালি। অনেক টালবাহানার পর ২৯ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানকে বামনপুকুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর তাঁকে সিআইডি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়। গ্রেফতারির পর আদালতে শাহজাহানের মেজাজ ছিল দেখার মতো। তাঁকে দেখে মনে হয়নি কোনও অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হচ্ছে। উল্টে মনে হচ্ছিল নেতার পিছনে হাঁটছে পুলিশ। কিন্তু সেই চেনা ছবির দেখাই মেলেনি রবিবার।
১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের শেষে রবিরার বসিরহাট আদালতে হাজির করানো হয়েছিল শাহজাহানকে। বাড়ির লোকেদের দেখে যেন এদিন যেন কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েন। আগের দিনের মতো সংবাদমাধ্যমের দিকে আঙুল উঁচাতেও দেখা যায়নি সন্দেশখালির বাঘকে। এই সব দেখেই উঠছে প্রশ্ন, সন্দেশখালির বাদশা কী এখন মুকুটহীন রাজা?