Arjun Singh: দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিয়েছিলেন দেবও, তথ্য ফাঁস করলেন অর্জুন সিং
Arjun Singh: অর্জুন সিং বলেন, "তৃণমূলে ফিরেছিলাম ঠিকই। তবে দলের তরফে কোনও হুইপ ছিল না। আদিবাসী পরিবার থেকে এসেছিলেন। তাই ওঁকে উপযুক্ত বলে মনে হয়েছিল, তাই ভোট দিয়েছিলাম। আর এ কথা সবাই জানে।" লোকসভা ভোটের আগেই এই তথ্য প্রকাশ করেছেন তিনি।
ব্যারাকপুর: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শুরু থেকেই তৃণমূল জানিয়ে দিয়েছিল যে তারা দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করছে না। শেষ পর্যন্ত সেই অবস্থানেই অনড় ছিল তারা। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, পশ্চিমবঙ্গ থেকে মোট ৭১টি ভোট পড়েছে। আর এই সংখ্যা নিয়েই বাড়ে জটিলতা। বিজেপি বিধায়কদের বাইরেও কি কেউ দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিয়েছেন? প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। লোকসভা নির্বাচনের আগে ফাঁস হল সেই তথ্য। তৃণমূলের হয়েও কারা ভোট দিয়েছিলেন দ্রৌপদী মুর্মুকে? সেই তথ্য সামনে আনলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। অর্জুন সিং জানিয়েছেন, তিনিই ভোট দিয়েছিলেন দ্রৌপদী মুর্মুকে।
আসন্না লোকসভা নির্বাচনের জন্য তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে অর্জুন সিং-এর নাম ঘোষণা করেনি। ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন রাজ্য়ের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কার্যত আক্ষেপ করেন অর্জুন সিং। এরপরই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথা উল্লেখ করেন তিনি। অর্জুন সিং জানান, শুধু তিনি নন, ভোট দিয়েছিলেন আরও এক তৃণমূল সাংসদ। তাঁর দাবি, ঘাটালের সাংসদ দেব ভোট দিয়েছিলেন দ্রৌপদী মুর্মুকে। এ বিষয়ে দেবের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এই প্রসঙ্গে অর্জুন সিং আরও বলেন, “তৃণমূলে ফিরেছিলাম ঠিকই। তবে দলের তরফে কোনও হুইপ ছিল না। আদিবাসী পরিবার থেকে এসেছিলেন। তাই ওঁকে উপযুক্ত বলে মনে হয়েছিল, তাই ভোট দিয়েছিলাম। আর এ কথা সবাই জানে।” প্রার্থী তালিক ঘোষণা হওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অর্জুন সিং-কে ওরা কোনও দিনই বিশ্বাস করে না। ভয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলে, কিন্তু ব্যারাকপুর এলাকায় কোনওদিন বিজেপি নেতাদের উত্যক্ত করেননি তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী একটি টুইটে দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের ৩৪ জন সাংসদের মধ্যে ৪টি ক্রস ভোটিং হয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে। সেখানে শুভেন্দুর দাবি ছিল, এর মধ্যে দুটি ভোট বাতিল হয়েছে ও দুটি ভোট পড়েছে দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে। এছাড়া, নির্বাচন কমিশন ভোট গণনার তথ্য প্রকাশ করার পর দেখা যায়, বাংলা থেকে মোট ২৯১ জন বিধায়ক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন। এর মধ্যে, দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে পড়ে ৭১টি ভোট। অন্যদিকে, যশবন্ত সিনহার পক্ষে রায় দিয়েছিল ২১৬ জন বিধায়ক। বাতিল হয়েছিল ৪ জন বিধায়কের ভোট। এদিকে, বাংলায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৫ হলেও, তাঁদের মধ্যে পাঁচ বিধায়ক শাসক শিবিরে যোগ দেন, ফলে ৭০টি ভোট নিশ্চিত ছিল।