AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dragon Fruit: আলু-পটল নয়, বিদেশি এই ফল চাষ করে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন সুব্রত

Dragon Fruit: জানা গিয়েছে, সুব্রত প্রথমে চারটি খুঁটিতে ড্রাগন ফ্রুটের চাষ করেন। তারপর ধীরে-ধীরে জমির পরিধি বাড়ান। প্রথমে সুইট ভিয়েতনাম হোয়াইট প্রজাতির ড্রাগন ফ্রুট দিয়ে চাষের শুরু করেন তিনি।

Dragon Fruit: আলু-পটল নয়, বিদেশি এই ফল চাষ করে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন সুব্রত
ড্রাগন ফলের চাষImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2025 | 11:52 AM
Share

পিংলা: আলু চাষ করে ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। গুচ্ছ-গুচ্ছ এমনই অভিযোগ এসেছে রাজ্যজুড়ে। ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যেই এবার বিকল্প চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন পিংলার সুব্রত মহেশ। মাসে লক্ষাধিক টাকা আয়ের রাস্তা দেখাচ্ছেন তিনি।

পশ্চিম মেদনীপুর জেলার পিংলার গো-গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত মহেশ। বিকল্প চাষ করে তিনিই এখন পথ দেখাচ্ছেন অন্যদের। কী চাষ করেছেন সুব্রত? জানা যাচ্ছে,তাঁর ফলানো ড্রাগন ফ্রুট কেবল রাজ্যের বাজারেই নয়,পাড়ি দিচ্ছে কুয়েত সহ বাইরের একাধিক দেশে। এই ফল এবং তার চারা বিক্রি করে বছরে আয় করছেন প্রায় সাড়ে বারো লক্ষ টাকা।

জানা গিয়েছে, সুব্রত প্রথমে চারটি খুঁটিতে ড্রাগন ফ্রুটের চাষ করেন। তারপর ধীরে-ধীরে জমির পরিধি বাড়ান। প্রথমে সুইট ভিয়েতনাম হোয়াইট প্রজাতির ড্রাগন ফ্রুট দিয়ে চাষের শুরু করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর এক একর জমিতে রয়েছে ৫৫০টি খুঁটি । এই সকল খুঁটিতে এখন ইজরাইল লেমন, ইয়েলো, পার্পেল, রেড ভেলভেট, জাম্বু রেড, ভিয়েতনাম হাইব্রিড, সিয়াম রেডের,মতো বিভিন্ন রকমের ড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে।

সুব্রতর কথায় ড্রাগন ফ্রুট রফতানি বড় সুযোগ রয়েছে। যেহেতু তাঁর ফার্মে বেশি চাষ হয় না,সেই কারণে বিভিন্ন আনাজ ও ফলের সঙ্গে জায়গা পেলে ড্রাগন ফ্রুট বিদেশে যায়। কিন্তু বেশি মানুষ চাষ করলে একটি বড় কন্টেনারে শুধুই ড্রাগন ফ্রুট বিদেশে পাঠানোর সুযোগ রয়েছে।

সুব্রতর কথায়, এই ড্রাগন ফ্রুট চাষ করতে এক একর জমিতে আনুমানিক খরচ প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। প্রথম বছরে ফলের আশা না করাই ভাল। তবে দ্বিতীয় বছর থেকে ধীরে ধীরে এর লাভ উঠতে শুরু করবে। চারা এবং ফল বিক্রি করে বছরে সমস্ত খরচ-খরচা বাদ দিয়ে বছরে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা আয় আছে বলেও জানান তিনি ।

সুব্রত মহেশ বলেন, “তেরো বছর আগে এই চাষের কথা জানতে পেরেছি। আমার মনে হয়েছে এই চাষ করে ভবিষ্যতে কিছু করতে পারব। চেষ্টা করছি এর সঙ্গে আরও যদি কিছু করা যায়। আম-জাম-কাঁঠালের মতো এটা কিন্তু বহুবর্ষজীবী গাছ। যদি ঠিকঠাক ভাবে চাষ করা হয় তাহলে বেশ লাভবান হওয়া যায়।”