Arjun Singh: অর্জুনের মুখে পার্থ ভৌমিকের নাম, টিকিটের পথে ঠিক কোন কারণ কাঁটা হল?
Arjun Singh: এবার কি অর্জুন ফেরার চেষ্টা করবেন বিজেপিতে? অর্জুনের দাবি, "আমাকে বিজেপি নেবে কি নেবে না, আমি যাব কি যাব না, এটা এখনও ঠিক করিনি। আমাদের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলব। হাজার হাজার লোক এসে আমার সঙ্গে কথা বলছে। সকলের সঙ্গে কথা না বলে কোনও সিদ্ধান্ত কেন নেব?
কেন টিকিট পেলেন না অর্জুন?
বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যারাকপুরে অর্জুন সিংকে নিয়ে নানা অভিযোগ তুলছিলেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীরা। সূত্রের খবর, সোমনাথ শ্যাম দলকে প্রকাশ্যে জানিয়ে রেখেছিলেন, অর্জুনকে প্রার্থী করা হলে প্রচারে যোগ দেবেন না।
প্রকাশ্যে বিরোধিতা চলছিলই
সোমনাথ শ্যাম একা নন। সুবোধ অধিকারীও প্রকাশ্যে বলেছিলেন, বিজেপিতে যোগ দিয়ে যারা তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করে, যারা ব্যারাকপুরে দাপিয়ে বেড়িয়েছে এক সময়, কোনওভাবেই মানুষ তাদের মানবে না। সূত্রের খবর, পার্থ ভৌমিকের সঙ্গেও অর্জুন সিংয়ের সম্পর্কে অম্ল বেশি, মধুরতা কম। ফলে ব্যারাকপুরের আসন নিয়ে দল দ্বিতীয় ভাবনাচিন্তা শুরু করে বলেই খবর।
পরিকল্পনা করেই সবটা হয়েছে, মনে করছেন অর্জুন
পার্থর নাম ঘোষণার পর অর্জুন বলেন, “রাজনীতিতে একটা জিনিস চলে, বিরোধীদের একত্রিত করে একজনের উপর আঘাত করে শেষ করে দেওয়া। এটা রাজনীতিতে হয়। তাই হয়েছে। আমার সঙ্গে এটা হয়েছে, আমি কিছুটা শকড। তবে আমার আগে ভাবা উচিত ছিল। আমি বিশ্বাস করেছিলাম, তাতেই আঘাতটা হল।”
দিদির প্রতি ক্ষোভ নেই, বললেন অর্জুন
সোমনাথ শ্যাম, সুবোধ অধিকারীদের প্রকাশ্য ‘বিদ্রোহ’কে অর্জুন ‘স্ক্রিপ্টেড’ বলেন এদিন। অর্জুন সিং বলেন, “স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী দু’জন বিধায়ককে দিয়ে বলানো, সিন ক্রিয়েট করা হয়। বলানো হয়, এরা ক্ষতি করে দেবে। আমি দিদিকে বলেছিলাম, এরা তো ২০১৯-এও আমার বিরুদ্ধে ছিল। তবে আমার দিদি, অভিষেকের উপর কোনও ক্ষোভ নেই। তবে আমাকে ডেকে এভাবে যা করা হল।”
ভুল কোথায় খুঁজছেন এবার
অর্জুনের দাবি, বিজেপি থেকে এলেও বিশ্বজিৎ দাস বনগাঁয় টিকিট পেলেন। তাহলে তিনি কেন পেলেন না? অর্জুন বলেন, “কোথাও না কোথাও আমারই ভুল হয়েছে। আমি বিশ্বাস করেছি। এটা কারও সঙ্গে করা উচিত না। আমাকে বলে আনা হয় ব্যারাকপুরের জন্য। আমি বুঝতেই পারলাম না কিছু।”
তবে অর্জুন যাই বলুন, তৃণমূলের একাংশের দাবি, তাঁর ছেলে বিজেপির, তিনি তৃণমূল এটা হতে পারে না। এমনও অভিযোগ ছিল, বিজেপিতে যাওয়ার চেষ্টাও চালাচ্ছিলেন অর্জুন। এর সত্যতা সামনে আসেনি। তবে এবার কি অর্জুন ফেরার চেষ্টা করবেন বিজেপিতে? অর্জুনের দাবি, “আমাকে বিজেপি নেবে কি নেবে না, আমি যাব কি যাব না, এটা এখনও ঠিক করিনি। আমাদের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলব। হাজার হাজার লোক এসে আমার সঙ্গে কথা বলছে। সকলের সঙ্গে কথা না বলে কোনও সিদ্ধান্ত কেন নেব?