Farmers Agitation: আশ্বাস দিলেও মিলছে না বন্যার ক্ষতিপূরণ, ক্ষোভে ফুঁসছেন কৃষকরা! মুখে ‘কুলুপ’ কৃষি দফতরের
Farmers Agitation: আশ্বাস মিলেছিল, করানো হয়েছিল শস্য বিমাও, কিন্তু ৬ মাস কেটে যাওয়ার পরেও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা পাননি ক্ষতিপূরণ। ক্ষোভে ফুঁসছেন বন্যা কবলিত এলাকার কৃষকেরা। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের।

বাঁকুড়া: বন্যায় ভেসে গিয়েছিল হেক্টরের পর হেক্টর কৃষি জমি। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ফসলের। প্রশাসনের তরফে কৃষকদের আশ্বস্তও করা হয়েছিল ক্ষতিপূরণের বিষয়ে। কৃষকদের দাবি, স্পষ্ট বলা হয়েছিল শস্য বিমা থাকলে প্রত্যেকেই পাবেন ক্ষতিপূরণের টাকা। অভিযোগ, সাত মাস কেটে গেলেও ক্ষতিপূরণের কিছুই পাননি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। ক্ষতিপূরণের দাবিতে কৃষকরা বারেবারে আন্দোলনে নামলেও মিলছে না সুরাহা। তাতেই বাড়ছে ক্ষোভ। এদিকে মুখে কুলুপ এঁটেছে কৃষি দফতর। স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে রাজ্য সরকার।
বর্ষায় দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া অতিরিক্ত জল পাড় উপচে ভাসিয়ে দিয়েছিল বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের উত্তর নিত্যানন্দপুর, কেনেটি মানা, পান্ডে পাড়া, সমিতি মানা, রাঙামাটি সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল গ্রামগুলি সংলগ্ন হাজার হাজার বিঘে আমন ধান ও সবজির জমি। তবে স্থানীয়দের দাবি, সব জমির ফসলই ছিল শস্য বিমার আওতায়। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিমার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল প্রশাসন ও কৃষি দফতর। কিন্তু ৭ মাস কেটে গেলেও ক্ষতিপূরণ বাবদ কানা-কড়িটুকুও পাননি স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। বিমার ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে প্রশাসনের দরজায় বারবার কড়াও নেড়েছেন কৃষকরা। বিডিও অফিস থেকে ব্লক কৃষি আধিকারিকের দফতরে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। করেছেন পথ অবরোধও। তাঁদের দাবি, এতকিছুর পরেও ঘুম ভাঙেনি প্রশাসন ও কৃষি দফতরের। তাতেই বেড়েছে হতাশা। ক্ষতিপূরণের টাকা না মেলায় চরম দুর্দশায় দিন কাটছে কৃষকদের।
মহাজনের ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় অনেকেই ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছেন। স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের দাবি, রাজ্য সরকার বিমার ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের আন্দোলন ক্রমশ তীব্রতর হলেও বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে কৃষি দফতর ও জেলা প্রশাসন। ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকার কারন দেখিয়ে বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতেই নারাজ কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত জল কোনদিকে গড়ায়।





