Suvendu taunts Madan: ‘কী খুলে দেবে বলেছিল, সেটা কি খুলেছে মদন?’ নন্দীগ্রামে মমতার হার নিয়ে শুভেন্দুর চরম কটাক্ষ

Suvendu Adhikari: হাতের কবজি দেখিয়ে মদনকে কটাক্ষ করে বললেন, "নন্দীগ্রাম ভোটের আগে বলেছিলেন না হাত থেকে কি খুলে দেবেন যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যান। খুলেছেন?"

Suvendu taunts Madan: 'কী খুলে দেবে বলেছিল, সেটা কি খুলেছে মদন?' নন্দীগ্রামে মমতার হার নিয়ে শুভেন্দুর চরম কটাক্ষ
মদনকে খোঁচা শুভেন্দুর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 24, 2022 | 11:15 PM

কলকাতা ও ব্যারাকপুর : বুধবার ব্যারাকপুরে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে। বৈঠকে থাকবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে প্রধান বক্তা তিনিই। অর্জুন সিং পদ্ম-ত্যাগের পর বিজেপির ব্যারাকপুরের এই সাংগঠনিক বৈঠক ঘিরে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। মদন মিত্র বিজেপির বৈঠক প্রসঙ্গে বক্রোক্তির সুরে বলেছেন, ব্যারাকপুরে গেলে নাকি শুভেন্দুর গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হবে। এবার সেই নিয়ে পাল্টা দিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। হাতের কবজি দেখিয়ে মদনকে কটাক্ষ করে বললেন, “নন্দীগ্রাম ভোটের আগে বলেছিলেন না হাত থেকে কি খুলে দেবেন যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যান। খুলেছেন?”

উল্লেখ্য, ব্যারাকপুরে বিজেপির সংগঠন কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে পদ্ম শিবির। তার উপর অর্জুন সিং আবার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, বিজেপির ৯০ শতাংশই নাকি এবার তৃণমূলে চলে আসবে। এই সব নিয়ে শিল্পাঞ্চলে সংগঠন ধরে রাখার একটি স্নায়ুর চাপ তো রয়েছেই বিজেপির অন্দরে। আর এরই মধ্যে মদনের খোঁচা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে একটু যেন মেজাজই হারালেন শুভেন্দু বাবু। বললেন, “আজে বাজে লোকের প্রশ্ন করবেন না।”

এর পাশাপাশি জঙ্গলমহলকে পৃথক রাজ্য করার যে দাবি সৌমিত্র খাঁ করেছেন সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এটা ওঁনার ব্যক্তিগত মত। কিন্তু বঞ্চনার ইস্যুকে আমি সমর্থন করি। দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাটের সব লোক, মন্ত্রী হবেন কেন? সব দফতর ওনাদের কাছে থাকবে কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন একা দশটা দফতরের মন্ত্রী হবেন? পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, জঙ্গলমহল, উত্তরবঙ্গ ভেসে এসেছে নাকি? সমস্ত দাবি, বঞ্চনা, অভিমান… সৌমিত্রর প্রত্যেকটা কথাকে সমর্থন করি। কিন্তু রাজ্য ভাগের ইস্যুতে আমার কোনও মন্তব্য নেই। কারণ এটা ওঁনার ব্যক্তিগত মত।”

মুখ খোলেন জিটিএ নির্বাচন প্রসঙ্গেও। বললেন,”রাজু বিস্তা যে কথা বলেছেন তাতে আমি সম্পূর্ণ একমত। জিটিএর সঙ্গে গোর্খাদের কোনও সম্পর্ক নেই। কোন প্রকৃত পাহাড়কে ভালবাসা দল জিটিএতে লড়বে না। ভোট দিতেও যাবে না। আমি মনে করি ২০১৩ সাল থেকে তৈরি হওয়া জিটিএ বেআইনি এবং টাকা মারার একটা জায়গা। তৃণমূল এবং তৃণমূলের সাজানো কিছু লোকের ভাগ বাটোয়ারার জায়গা।”