Suvendu in Barrackpore: লক্ষ্য মনোবল চাঙ্গা করা, অর্জুনের ‘গান্ডীব’ সামাল দিতে আজ কোন অস্ত্রে শান দেবেন শুভেন্দু?
BJP Organizational Meeting: অর্জুন বিজেপি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর, ব্যারাকপুরে পদ্ম শিবিরে যে নড়বড়ে অবস্থা তৈরি হয়েছে, তা কতটা মেরামত করা যাবে বুধবারের এই সাংগঠনিক বৈঠকের পর, সেই দিকেই নজর সকলের।
ব্যারাকপুর : অর্জুন পরবর্তী অধ্যায়ে কী হবে ব্যারাকপুরে পদ্মের স্ট্র্যাটেজি? তা নিয়েই বুধবার শ্যামনগরের কাউগাছিতে সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে বিজেপির। বৈঠকে প্রধান বক্তা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বর্তমানে রাজ্য রাজনীতির পরিস্থিতির নিরিখে এই বৈঠক যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। বিশেষ করে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে কী কী ভোকাল টনিক দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী, সেই দিকেই নজর রয়েছে সবার। স্থানীয় বিজেপি নেতা-নেত্রী সূত্রে খবর, দল ছেড়ে যাতে কেউ না যান, সেই বার্তাই মূলত দেওয়া হবে। নরেন্দ্র মোদীর দেখাতে পথে হাঁটা এবং আরও বেশি শৃঙ্খলা পরায়ণ হওয়ার কথাও বলা হবে আজকের বৈঠকে। তবে অর্জুন বিজেপি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর, ব্যারাকপুরে পদ্ম শিবিরে যে নড়বড়ে অবস্থা তৈরি হয়েছে, তা কতটা মেরামত করা যাবে বুধবারের এই সাংগঠনিক বৈঠকের পর, সেই দিকেই নজর সকলের।
এদিকে ভাটপাড়া পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের তরফে অর্জুন সিংকে যে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে, সেখানেও অনেক বিজেপির কর্মী ও নেত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে এমন মুখও রয়েছেন যাঁরা অতীতে কাউন্সিলর পদে কিংবা বিধায়ক পদে ভোটে লড়েছিলেন। সদ্য বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসা অর্জুন সিং আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ, যাঁরা বিজেপির কর্মী ও সমর্থক, তাঁরা তৃণমূলে ফিরে আসবেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, তাঁরা প্রায় সকলেই এক পা বাড়িয়ে রয়েছেন ৩০ তারিখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য। এই পরিস্থিতিতে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বিজেপির সংগঠনের হাল ধরে রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ পদ্ম নেতৃত্বের।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বুধবার শ্যামনগরের কাউগাছিতে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে মূল মন্ত্র থাকতে চলেছে একতা। অর্থাৎ, সবাইকে একসঙ্গে একজোট হয়ে থাকার বার্তাই দেওয়া হবে ওই বৈঠক থেকে। তবে এই লড়াই কতটা ঐক্যবদ্ধ করা যাবে শুভেন্দু অধিকারীর ভোকাল টনিকের মাধ্যমে, সেই দিকেই এখন নজর রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের। পাশাপাশি বুধবারের এই বৈঠকে যাঁরা উপস্থিত থাকবেন, তাঁদের কেউ আবার ৩০ তারিখ তৃণমূলের সভায় চলে যাবেন না তো? এমন প্রশ্নও ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। যদিও বিজেপির তরফ থেকে রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র জানিয়েছেন, দলের কোনও কার্যকর্তা তৃণমূলে যাবেন না। তবে অর্জুনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যেভাবে বিজেপি নেতা-কর্মীদের একাংশকে দেখা গিয়েছে, তাতে পদ্ম শিবিরের এই দাবি শেষ পর্যন্ত কতটা সফল হবে, সেই দিকে নজর থাকছে রাজ্য রাজনীতির বিশ্লেষকদের।