Suvendu Adhikari: ‘তৃণমূল রত্ন’-কে চিনিয়ে দিলেন শুভেন্দু-সুকান্তরা, কী কাণ্ড ঘটিয়েছেন এই পঞ্চায়েত সদস্য
TMC: ঘটনাটি ঘটেছে দত্তপুকুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়পুল মেঠোপাড়া এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই দত্তপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন নাসিরের স্ত্রী। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সেই ঘটনার ভিডিয়ো এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে তুলোধনা করেছেন শাসক শিবিরকে।
দত্তপুকুর: জমি সংক্রান্ত বিবাদ ঘিরে গোলমাল। সেই থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। আর তারপরই তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের ভয়ঙ্কর দাদাগিরির অভিযোগ। অভিযোগের তির তাজউদ্দিন শাহ নামে এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। বিবাদমান ওই জমি ঘিরে নাসির মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার স্ত্রীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে মারধরের অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দত্তপুকুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়পুল মেঠোপাড়া এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই দত্তপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন নাসিরের স্ত্রী। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সেই ঘটনার ভিডিয়ো এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে তুলোধনা করেছেন শাসক শিবিরকে। তাজউদ্দিনকে ‘তৃণমূল রত্ন’ বলে কটাক্ষ করে শুভেন্দু লিখেছেন, দেখা যাক দত্তপুকুর থানা এখন কী পদক্ষেপ করে। ঘটনার ভিডিয়ো এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।
এদিকে স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, নাসির মণ্ডলের সঙ্গে ওই জমি ঘিরে আতাউর রহমান নামে এক ব্যক্তির গোলমাল চলছিল বিগত কিছুদিন ধরে। নাসিরের পরিবারের অভিযোগ, জমি জোর করে দখল করে নেওয়া হয়েছে। আবার আতাউরের বক্তব্য, তিনি জমিটি কিনেছেন এবং জমিতে বেড়া দিতে গিলে বিভিন্নভাবে তাঁদের বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত। এরপর গোলমাল যখন চরমে পৌঁছায়, তখন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য তাজউদ্দিন ও তাঁর দলবল আসরে নামেন। তাঁরা সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে বেড়া বসানোর ব্যবস্থা করেন। আর তা থেকেই তাজউদ্দিন ও তাঁর দলবলের সঙ্গে বচসা শুরু হয় নাসিরের পরিবারের।
ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিচারের দাবি তুলেছেন নাসিরের স্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি একজন মহিলা। আমি ভালভাবে কথা বলছিলাম, তারপরও কেন আমাকে মারা হল?’ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন নাসিরের স্ত্রী ও পরিবারের লোকেরা।
যদিও যে পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, সেই তাজউদ্দিনের বক্তব্য, ‘জোর জবরদস্তি দখলের কোনও ব্যাপার নেই। আতাউর রহমান এই জমিটি কিনেছেন। তাঁর নামেই রেকর্ড হয়ে রয়েছে। সেখানে মহিলাদের সামনে রেখে জমি দখল করে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। বার বার বলা হয়েছিল, বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার জন্য। এরপর আমি যখন আসি, তখন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। আমার গায়ে হাত দেওয়া হয়। প্রথমে আমাকে ধাক্কা মারা হয়েছিল। তারপর আমারও মাথা গরম হয়ে যায় এবং আমিও ধাক্কা মেরেছি।’