Rajarhat: সারা গায়ে বিড়ির ছ্যাঁকা, পা বাঁধা! মহিলার অর্ধনগ্ন রক্তাক্ত দেহ ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য

Rajarhat: সারা গায়ে বিড়ির ছ্যাঁকা, পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে নিথর দেহ! রাজারহাটে মহিলার অর্ধনগ্ন রক্তাক্ত দেহ দেখে শিউরে উঠল গ্রামবাসীরা।

Rajarhat: সারা গায়ে বিড়ির ছ্যাঁকা, পা বাঁধা! মহিলার অর্ধনগ্ন রক্তাক্ত দেহ ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 29, 2022 | 11:18 PM

রাজারহাট: নারী স্বাধীনতা, নারীদের ক্ষমতায়ন নিয়ে গোটা দেশে লড়াই আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নারী দিবসের লম্বা লম্বা পোস্টও চোখে পড়ে৷ কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে চিত্রটা প্রদীপের তলার অন্ধকারের মতোই। আসলে এ দেশে শিশু, কিশোরী, যুবতী, বয়স্কা কেউই রেহাই পান না। সে কারণেই খবরের কাগজ খুললে রোজই গা শিউরে ওঠে ধর্ষণ, খুন কিংবা নারী নির্যাতনের খবরে৷ সেই নৃশংসতার তালিকায় ফের জুড়ে গেল আরও এক মহিলার নাম। আলেয়া বিবির (৫০) রক্তাক্ত, অর্ধনগ্ন, ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হল রাজারহাট (Rajarhat) গাঁড়াগড়ি এলাকার একটি ফাঁকা মাঠ থেকে। সারা দেহে তাঁর আঘাতের ক্ষত, জায়গায় জায়গায় বিড়ির ছ্যাঁকা, পা বাঁধা শক্ত করে৷ 

ভয়ঙ্কর অবস্থায় এই দেহ দেখে কার্যত চমকে ওঠেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় নিমেষে। থমথমে আবহে ফের একটা বড় প্রশ্ন চিহ্নই ঘুরপাক খেতে থাকে সকলের মনের মধ্যে, নারীদের নিরাপত্তা ঠিক কোথায়? তড়িঘড়ি আলেয়া বিবির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় রাজারহাট থানার পুলিশ। সন্দেহ, ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে মহিলাকে। 

পুলিশ সূত্রে খবর, রোজকার মতোই বুধবার সকালেও মাঠে কাজ করার জন্যই বেরিয়েছিলেন আলেয়া বিবি। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চললেও বাড়ি ফেরার নাম নেই৷ চিন্তায় পড়েই মাঠে তাঁকে খুঁজতে যান নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। মাঠে গিয়ে তাঁরা দেখেন বাড়ি থেকে বেঁধে নিয়ে যাওয়া আলেয়া বিবির খাবার মাঠে লুটোপুটি খাচ্ছে, পাশে চাপ চাপ রক্ত। এরপর আশেপাশে খুঁজতেই একটি ঝোঁপ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ক্ষত-বিক্ষত দেহ। মাথার ক্ষতয় তখনও কাঁচা রক্ত, গায়ে বিড়ির ছ্যাঁকা। এরপর পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রাই। আলিয়া বিবি পৈশাচিক লোভ লালসার শিকার, নাকি অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ 

নির্যাতিতার মেয়ে তাসিমা খাতুন জানান, “সাড়ে ৯ টার সময় মাকে ভাত দিয়ে এসেছি, বাড়ি ফিরেছি ১০.১৫ নাগাদ৷ আড়াইটে বেজে গেলেও মা আসছিল না। তারপর মাকে খুঁজতে মাঠে গেলেও, মাকে খুঁজে পাইনি। থালা বাসন ভাত সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল, পাশে রক্ত পড়েছিল। তখন বাড়ি চলে আসি, দাদা বৌদিকে ডেকে নিয়ে  আবার খুঁজতে যাই। তারপর মাকে পাই। কেউ মুগুর দিয়ে মেরে, মনে হয় দা দিয়ে কুঁপিয়েছে।”