Titagarh: অপরাধ জগতে বাদশার গদি কার? গোষ্ঠীকোন্দলেই খুন টিটাগড়ের যুবক
Titagarh: সূত্রের খবর, ওই এলকায় নামকরা হেরোইন বিক্রিতা ছিলেন দাদরা রাজু নামে এক ব্যক্তি। তাঁর হয়েই কাজ করত এই মহম্মদ আরমান, মহম্মদ কবীর ও মহম্মদ হাসান। কয়েক বছর আগে পুলিশ রাজু ও হাসানকে গ্রেফতার করে।
টিটাগড়: সূর্য তখনও অস্ত যায়নি। পড়ন্ত বিকেলে হঠাৎ গুলির আওয়াজে কেঁপে ওঠে টিটাগড়ের অরুণপাড়া। মহম্মদ হাসান নামে এক যুবককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। মৃত্যু হয় হাসানের। সেই ঘটনায় গ্রেফতার মোট দু’জন। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের নাম রাজা ওরফে মহম্মদ আরমান ও তার সঙ্গী মহম্মদ কবীর ওরফে ছোটু। ব্যারাকপুর থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, ওই এলকায় নামকরা হেরোইন বিক্রিতা ছিলেন দাদরা রাজু নামে এক ব্যক্তি। তাঁর হয়েই কাজ করত এই মহম্মদ আরমান, মহম্মদ কবীর ও মহম্মদ হাসান। কয়েক বছর আগে পুলিশ রাজু ও হাসানকে গ্রেফতার করে। জেলেই রাজুর মৃত্যু হয়। সেই সময় এলাকায় হেরোইন বিক্রির মাথা হয়ে উঠেছিল মহম্মদ আরমান ও তার সঙ্গী মহম্মদ কবীর। তবে হাসান জেল থেকে ছাড়া পেতেই শুরু সমস্যার। হেরোইনের বাজার কে দখল করবে সেই নিয়েই শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল।
এরপরই গতকাল বিকেল পাঁচটা নাগাদ টিটাগড় থানার অদূরে বাড়ির সামনেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলির আওয়াজ শুনে এলাকার বাসিন্দারা ছুটে এলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসানকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন তাঁকে।
সাংসদ অর্জুন সিং এই ঘটনার পর পুলিশি সক্রিয়তা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “পুলিশের উর্দির ভয় কমে গিয়েছে দুস্কৃতীদের। শুধু দুস্কৃতীদের নয়, তাদের পরিবারকেও ছাড়া উচিত নয়।আসলে হেরোইন বিক্রি নিয়েই দুষ্কৃতী দলের মধ্যে লড়াই চলছিল। সেই কারণেই এই খুনের ঘটনা। পুলিশ কে আরও সক্রিয় হতে হবে। না হলে এই খুনের ঘটনা বেড়েই চলবে।”