TMC: ইস্যু ত্রিপল! টানাটানিতে তৃণমূল বনাম তৃণমূল
TMC: এমনকি পঞ্চায়েতের মূল গেটে তালাও লাগিয়ে দেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে উপপ্রধান মাসিদা বিবি ও তাঁর স্বামী যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কামরুল সর্দারকে অবিলম্বে তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
বসিরহাট: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। ইস্যু ত্রিপল। খোদ উপপ্রধান ও তাঁর স্বামী যুব সভাপতির বিরুদ্ধেই চুরির অভিযোগে সরব প্রধান ও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাতেই শাসকদলের কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে হাড়োয়ায়। খোদ উপপ্রধান ও তাঁর স্বামী যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির বিরুদ্ধে ত্রিপল চুরির অভিযোগ। প্রতিবাদে পঞ্চায়েতে তালা, পদত্যাগের দাবিতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ তৃণমূল সদস্য সহ কর্মী-সমর্থকদের। উপপ্রধান ও তৃণমূলের যুব সভাপতির বিরুদ্ধে ত্রিপল চুরি দুর্নীতির অভিযোগে পঞ্চায়েতের সামনে ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হস্তক্ষেপ অঞ্চল সভাপতির। বসিরহাটের সুন্দরবনের হাড়োয়া ব্লকের গোপালপুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
উপপ্রধান মাসিদা বিবি ও তাঁর স্বামী যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কামরুল সর্দারের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত অফিস থেকে কয়েকশো ত্রিপল চুরি এবং বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে সামিল হন পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যরা। সুন্দরবন এলাকায় রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবেলা দফতরের দেওয়া ত্রিপল বণ্টনেও অনিয়ম করেছেন উপপ্রধান। এই অভিযোগ তুলে গোপালপুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ জন তৃণমূলের জয়ী সদস্যরা তৃণমূলের গোপালপুর ২নং অঞ্চল সভাপতি বাগবুল কালাম মুন্সীর নেতৃত্বে পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখান।
এমনকি পঞ্চায়েতের মূল গেটে তালাও লাগিয়ে দেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে উপপ্রধান মাসিদা বিবি ও তাঁর স্বামী যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কামরুল সর্দারকে অবিলম্বে তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি তদন্ত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অভিযুক্ত গোপালপুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কামরুল সর্দার বলেন, “অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা, তৃণমূল দলকে কালিমালিপ্ত করতে এই বিক্ষোভ করেছে তারা। আমি জেলা নেতৃত্বের কাছে সবকিছু জানিয়েছি। পঞ্চায়েত এখনও ঠিক ভাবে গঠনই হয়নি।”
তাঁর বক্তব্য, যেখানে প্রধান রয়েছে সেখানে উপপ্রধানের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে পাশাপাশি যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির উপর দোষ চাপিয়ে পক্ষান্তরে তৃণমূল দলকে কালিমালিপ্ত করছে। যদি দুর্নীতি প্রমাণ করাতে পারে, তাহলে তিনি পদত্যাগ করবেন বলেও জানিয়েছেন। যদিও এবিষয়ে হাড়োয়ার সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি।