TMC Protest On Basirhat Clash: তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে’ গুলিবিদ্ধ পুলিশ কর্মী, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ তৃণমূলের একাংশের!
TMC Protest On Basirhat Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পুলিশকর্মীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে যুব তৃণমূল কংগ্রেস।
উত্তর ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের একবার উত্তপ্ত বসিরহাট। অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে গুলিবিদ্ধ হন পুলিশকর্মী প্রভাত সর্দার। এই ঘটনায় থমথমে বসিরহাটের সীমান্তবর্তী শাঁকচুড়া গ্রাম। এদিকে, পুলিশকর্মীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এবং অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে যুব তৃণমূল কংগ্রেস। টাকি রোড অর্থাৎ রাজ্য সড়ক ২ এর দন্ডীরহাটে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে গোটরা অঞ্চল যুব তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের দাবি, ঘটনার মূল অভিযুক্ত সিরাজুল বেশের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে পুলিশকে। মিছিলে অংশ নেন কয়েকশো তৃণমূল নেতা। মিছিলে অংশগ্রহণকারী এক নেতা বলেন, “রাত ন’টা নাগাদ সিরাজুল বেশের অফিস থেকে আমাদের ছাত্র নেতা বুলবুলের ওপর হামলা করা হয়। সিরাজুল বেশে আমাদের দলের কেউ নন। তাঁর যেন বড় শান্তি হয়।”
তবে বসরিহাটের এই ঝামেলার নেপথ্যে তৃণমূল নেতৃত্বই একাধিক তত্ত্ব খাঁড়া করছেন। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সদস্য শাহানুজ মণ্ডল এই ঘটনার নেপথ্যে দুষ্কৃতী তত্ত্ব খাঁড়া করেছেন। তাঁর যুক্তি, “দুষ্কৃতীদের আখড়া। অভিযুক্ত আমাদের দলের কেউ নন। দুষ্কৃতীরা এক জায়গায় হয়েছিল। ওখানকার লোকই থানায় ফোন করেছিল। পুলিশের সঙ্গেই আমাদের ছাত্রনেতা বুলবুল ছিল। সে সময় বুলবুলকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ওই ছাত্রনেতাকে সরাতে গিয়েই পুলিশ গুলি খায়।”
এই ঘটনাকে গ্রাম্য বিবাদ বলেই উল্লেখ করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, “ঘটনাটা অনভিপ্রেত। স্থানীয় কোনও বিবাদ থেকে হয়ে থাকতে পারে। আমাদের এখানে অন্য কোনও গ্রুপিজম নেই। যেমন ওদের সুকান্ত, দিলীপ, লকেটের এক একটা করে গোষ্ঠী রয়েছে। আমাদের একটাই পরিবার। সেই পরিবারে যদি কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে, সেটা দেখতে হবে। এটা দেখতে হবে প্রশাসন কতটা তৎপরতার সঙ্গে দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করেছে। ”
মঙ্গলবার সকালেও সীমান্তবর্তী শাঁকচুড়া বাজার থমথমে। সোমবার রাত দশটা নাগাদ হঠাৎ উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। টাকি রোডের উপর তৃণমূল কার্যালয়ে ঝামেলা হয়। অভিযোগ, গন্ডগোলের মধ্যেই আচমকা চলে গুলি। এলাকার ছাত্রনেতা বুলবুলকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন পুলিশকর্মী প্রভাত। তিনি বর্তমানে আরজি কর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। গুলিবিদ্ধ পুলিশ কর্মী প্রভাত সর্দারের বাড়ি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় বয়নালা গ্রামের। ২০০৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে যোগ দেন প্রভাত। মা, ছোট্ট মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে সংসার। সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ ডিউটির জন্য বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন প্রভাত। সন্ধ্যার মধ্যেই এই ঘটনা।