TMC Sandeshkhali: ‘সব শুনেছি, সব ঠিক আছে…’, সন্দেশখালিতে পা রাখতেই শাসক হেভিওয়েটদের সঙ্গে সেলফি!
TMC Sandeshkhali: কী পরিস্থিতি সন্দেশখালির? মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বললেন, "সব দেখে নিলাম, সব শুনে নিলাম। সব ঠিক আছে।" এদিকে, বেড়মজুরের জনরোষের পর শেখ শাহজাহানের ভাই ডাক্তার সিরাজউদ্দিনকে অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
সন্দেশখালি: ঘটনার ৫০ দিন পার। অবশেষে সন্দেশখালি পৌঁছলেন শাসক মন্ত্রীদ্বয়। বিরোধীদের কথায়, কার্যত ড্যামেজ কন্ট্রোলে সুজিত-পার্থ! এদিন শাসক হেভিওয়েটরা পৌঁছতেই সন্দেশখালি যেন অন্য চেহারায়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললেন পার্থ সুজিত। হাত নেড়ে, করমর্দন করে গ্রামবাসীদের সঙ্গে জনসংযোগ করলেন, এমনকি হেভিওয়েট নেতাদের সঙ্গে সেলফিও উঠল! সন্দেশখালি আজ অন্য চেহারায়।
সন্দেশখালিতে আজ নিগৃহীতদের সঙ্গে দেখা করাই মুখ্য উদ্দেশ্য সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর। সঙ্গে ছিলেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা। সন্দেশখালির মাটিতে পা রাখতেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বললেন, “সব দেখে নিলাম, সব শুনে নিলাম। সব ঠিক আছে।” এদিকে, বেড়মজুরের জনরোষের পর শেখ শাহজাহানের ভাই ডাক্তার সিরাজউদ্দিনকে অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তাঁর বদলে দায়িত্ব সামলাবেন বর্তমান অঞ্চল সম্পাদক।
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক অবশ্য বলেছেন, “এটা অনেক আগেই হয়েছে। সিরাজকে সরিয়ে অজিতদাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।” উল্লেখ্য, শাহজাহানের এই ভাই সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে বেড়মজুরের বাসিন্দারা জমি, মাছের ভেড়ি দখলের অভিযোগ তুলেছেন গুচ্ছ গুচ্ছ। আর তৃণমূল তাঁকে সরিয়ে যাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেই অজিত মাইতির বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ বিস্তর। তাঁর বাড়িতে শুক্রবার ভাঙচুরও চলে। কিন্তু সে প্রসঙ্গে মন্ত্রীর বক্তব্য, “ওটা তো বিজেপির ছেলেরা ভাঙচুর চালিয়েছে। অশান্তি জিইয়ে রাখার জন্য।”
তবে পার্থ ভৌমিক এদিন স্পষ্ট বলেন, “যার যার যে যে অভিযোগ রয়েছে জমি দখলেন, একটা বলে রাখি, সেই সব মানুষদের জমি ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। ” তবে শেখ শাহজাহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের যে সত্যতা মিলেছে, তা স্বীকার করে নিচ্ছেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।
বিধায়ক জানান, সন্দেশখালির বিভিন্ন গ্রামে শনিবার ঘুরে দেখবেন পার্থ ভৌমিক সুজিত বসুরা। শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই অভিযোগ আসতে শুরু করেছিল বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। এদিকে, আজও বেড়মজুরে জ্বলেছে বিক্ষোভের আগুন। হালদারপাড়ায় তৃণমূল নেতা বিনয় সর্দারের বাড়িতে হামলা চলেছে বলে অভিযোগ। কিন্তু এদিন আর তৃণমূল নেতৃত্বের পাশে গ্রামবাসীদের একাংশকে হাসি মুখেই ঘুরতে দেখা যায়।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ২৫০ টা অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। তার মধ্যে ১৫০টি অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে। কিন্তু বাকি ১০০টির কী হল, তা সম্পর্কে কিছু বলতে পারেনি তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু এসবের পরেও বিরোধীদের প্রশ্ন, এত দেরিতে কেন টনক নড়ল শাসকনেতাদের?