Trinamool Congress: তৃণমূল নেতাদের ঝাঁটা নিয়ে তাড়া গ্রামের মহিলাদের, কী হল বসিরহাটে?
Trinamool Congress: “যাঁরা সমস্যা সৃষ্টি করছে এরকম লোক আমাদের দলে অনেক আছে। আসলে দল বড় হয়েছে। এখানে কিছু লোক এখন তৃণমূল সেজে আছে।” স্পষ্ট কথা হাসনাবাদ ব্লক-২ এর তৃণমূল সভাপতি সেকেন্দর গাজির।
মাখালগাছা: হাসনাবাদে ড্রেনের উদ্বোধন করা নিয়ে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি। আহত দুই পক্ষের পাঁচ। গ্রামের মহিলারা ঝাঁটা হাতে তাড়া করলেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) এক গোষ্ঠীকে৷ এলাকায় উত্তেজনা থামাতে পৌছায় হাসনাবাদ থানার পুলিশ (Police)। সূত্রের খবর, গত ২৮ এপ্রিল থেকে বসিরহাটের (Basirhat) হাসনাবাদ থানার মাখালগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামে ৫৪ নম্বর বুথে ৭ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮৪৩ টাকায় একটি ড্রেনের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কাজ শুরু হয় গত সোমবার থেকে। চারদিন ধরে চলে কাজ। কাজের সূচনা হয় মাখালগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের হাত ধরে। তবে গল্প এখানেই শেষ নয়।
পুনরায় এদিন সেখানে ড্রেনের কাজের শুভ সূচনা করার জন্য মাইক, চেয়ার ও টেবিল পাঠায় পঞ্চায়েত সদস্য মন্দিরা দাশ মণ্ডলের স্বামী তথা অঞ্চল ওয়ার্কার প্রেসিডেন্ট শঙ্কর মণ্ডল। এই সময় গ্রামবাসীরা ঝাঁটা লাঠি নিয়ে ওই তৃণমূল নেতৃত্ব ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের তাড়িয়ে দেয় এলাকা থেকে। একইসঙ্গে চেয়ার-টেবিল মাইক ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজনদের মধ্যে হাতাহাতিও শুরু হয়ে যায়। আহত দুই পক্ষের ৫ জন।
ঘটনা প্রসঙ্গে হাসনাবাদ ব্লক-২ এর তৃণমূল সভাপতি সেকেন্দর গাজি বলেন, “বিষয়টা আমি জেনেছি। জানতে পারার পর দলের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। যাঁরা সমস্যা সৃষ্টি করছে এরকম লোক আমাদের দলে অনেক আছে। আসলে দল বড় হয়েছে। এখানে কিছু লোক এখন তৃণমূল সেজে আছে। তাঁরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে তাঁরা ব্য়হত করতে চাইছে।”