Sodepur Ashram: মেয়েদের ঘরে বড়মার ভাইয়ের অবাধ যাতায়াত, সোদপুরের আশ্রমে কী চলত?

Sodepur Ashram: জানা গিয়েছে, এই হোমটি চালানোর জন্য সরকারের কোনও অনুমোদনই নেই। অথচ সেখানেই রয়েছেন ৪১ জন নাবালিকা। বড় মা-র যদিও বক্তব্য বড়মা তাঁর বক্তব্য, নাম-সংকীর্তন করতে গিয়ে এই অনাথ বাচ্চাদের পেয়েছিলেন।

Sodepur Ashram: মেয়েদের ঘরে বড়মার ভাইয়ের অবাধ যাতায়াত, সোদপুরের আশ্রমে কী চলত?
আশ্রমের আড়ালে চলত কী?Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 05, 2023 | 4:25 PM

কলকাতা: বাইরে থেকে দেখলে বুঝবেন একটি আশ্রম। তবে ভিতরে রয়েছে প্রচুর নাবালিকা। তাদের কেউ এ রাজ্যের, কেউ আবার ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট ওই আশ্রমের আড়ালে চলছে ‘অনুমতিহীন’ হোম। ভিনরাজ্যের আদিবাসী শিশু, কিশোরীদের এনে আশ্রমে রাখার অভিযোগ। তবে হোমের মালিকের দাবি তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত নথি রয়েছে হোমটি চালানোর জন্য।

ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের ঘোলা মুড়াগাছা অঞ্চল। সূত্রের খবর, একটি সরু গলির মধ্যে গড়ে উঠেছে গোলাপি রঙের তিনতলা বাড়ি। সেই বাড়ির বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে ধর্মীয় কোনও আশ্রম। কিন্তু সেই আশ্রমের আড়ালে হোম খুলে বসে রয়েছেন সেখানকার কর্ত্রী শর্মিলা দেবী দাসি ওরফে বড়মা। একবছর আগে, এই হোমেই এক নাবালিকা যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে। এরপর নির্যাতিতাকে অন্য হোমে সরানো হয় বলে দাবি। এখানেই শেষ নয়, ২০২১ সালে অসমের এক নাবালিকা আশ্রম থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। এফআইআর-এ নামও ছিল না নিখোঁজ সেই নাবালিকার।

জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ছ’মাসের প্রভিশানাল সার্টিফিকেট ছিল। বর্তমানে সেটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। সেখানেই রয়েছে ৪১ জন নাবালিকা। বড় মা-র যদিও বক্তব্য বড়মা তাঁর বক্তব্য, নাম-সংকীর্তন করতে গিয়ে এই অনাথ বাচ্চাদের পেয়েছিলেন। তারপরই এখানে নিয়ে চলে আসেন। তবে ওই হোমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। মেয়েদের এই হোমে রয়েছে হোম কর্ত্রীর ভাইয়ের অবাধ যাতায়াত। ফলত উঠছে প্রশ্ন। মেয়েদের ঘরে কি এভাবে কোনও পুরুষের যাতায়াত থাকতে পারে? রাজ্য শিশু সুরক্ষা দফতরের চেয়ার পার্সন সুদেষ্ণা রায় জানিয়েছেন, হোমে মেয়েদের ঘরে পুরুষের এভাবে অবাধ যাতায়াত থাকতে পারে না। তিনি বলেন, “মেয়েদের হোম একজন পুরুষ তাদের ঘরে থাকছে তা হতে পারে না।”

গোটা ঘটনার বিষয়ে ইতিমধ্যে নালিশ হয়েছে রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতরে। রবিবার ওই হোমে রাজ্য শিশু সুরক্ষা দফতরের প্রতিনিধি দল পৌঁছতেই সেখান থেকে হাওয়া তাঁর ভাই। অথচ তিনি সবসময়ই ওই হোমে থাকেন বলেই অভিযোগ। যদিও, বড়মার দাবি, তাঁর ভাই করোনার সময় ওই হোমে ছিলেন। এখন আর থাকে না। মাঝে মধ্যে ডাক্তার দেখাতে সেখানে আসেন। তিনি বলেন, “২০১৩-১৪ সালে আমরা সমস্ত নথি জমা দিলে বলা হয় হোম চালাতে পারব।” তাঁর দাবি, উত্তর ২৪ পরগনার শিশু কল্যাণ সমিতি সবটাই জানত। তবে এই বিষয়ে টিভি ৯ বাংলা জেলার শিশু কল্যাণ সমিতিতে যোগাযোগ করলে তাদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এ দিন, রাজ্য শিশু সুরক্ষা দফতরের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী প্রভিশানাল সার্টিফিকেট নতুন করে তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন।