‘তবু ওরা সাহায্য করল না’, বাড়ির উল্টোদিকেই থানা, আচমকা ‘হামলায়’ আতঙ্কিত বিজেপি কর্মী!
BJP TMC Clash: অভিযোগ, শুক্রবার রাতে রণজিত্-এর আসার খবর পেয়ে ওই বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বাড়ির মেইন গেট ভেঙে ঘরে ঢোকারও চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ
উত্তর ২৪ পরগনা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার (Post Poll Violence) তদন্তে রাজ্য যখন চষে বেড়াচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তখন খাস দত্তপুকুরে বিজেপি কর্মী রণজিত্ দাশের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল। অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে। শুক্রবার গভীর রাতে ওই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী বলে অভিযোগ।
বিজেপি (BJP) কর্মী রণজিত্ দাশের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের পর থেকে ঘর ছাড়া রণজিত্। গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় ফেরার পর তিনি দত্তপুকুর থানার উল্টোদিকে শিবালয় নামে একটি বাড়িতে এসে ছিলেন। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে রণজিত্-এর আসার খবর পেয়ে ওই বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বাড়ির মেইন গেট ভেঙে ঘরে ঢোকারও চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। এমনকী, বাড়ির সমস্ত জানলা-দরজাও ভেঙে ফেলার অভিযোগ ওই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রণজিতের পরিবারের স্পষ্ট দাবি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে। এমনকী তাঁরা পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ তোলেন।
হামলার ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছে রণজিতের পরিবার। তাঁর স্ত্রী চোখের জলে ভাসতে ভাসতে বলেন, “আমাদের বাড়িতে এসে কাল রাতে ভাঙচুর চালিয়েছে। সব কিছু ভেঙে দিয়েছে। হুমকি দিয়েছে জমি ছাড়তে হবে, নয়ত আমার স্বামীকে ওরা মেরে দেবে। উল্টোদিকে থানা। পুলিশকে ফোন করলেও পুলিশ আসেনি। কোনও সাহায্য় করেনি। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। ওরা আবার আসবে বলেছে, সবাই তৃণমূলের লোক। আমার ছোট দুটো বাচ্চা রয়েছে। কোথায় যাব আমি!”
যদিও সমস্ত হামলার কথা অস্বীকার করেছে শাসক শিবির (TMC)। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই ঘটনা সম্পূর্ণ বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলাফল। তৃণমূলের কোনও কর্মী সমর্থক এই ঘটনায যুক্ত নেই। যে বা যাঁরা এই অভিযোগ করছেন তা ভ্রান্ত ও মিথ্যা। তৃণমূলকে বদনাম করার জন্যেই তাঁরা এই অভিযোগ করছেন।
উল্লেখ্য, রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় ইতিমধ্যেই অতিতত্পর সিবিআই। চার জোনে ভাগ হয়ে ক্যাম্প গঠন করে চলছে তদন্ত। দিল্লিতে সিবিআইয়ের দফতরে ইতিমধ্যেই ৯টি এফআইআর রুজু হয়েছে। শুক্রবার আরও ২টি এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শনিবার নতুন করে আরও ১০ টি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। রাজ্য খুন, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মামলাগুলি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট পেশ করার কথা সিবিআইয়ের। শনিবারই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় রাজ্যে প্রথম দুজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। নদিয়ার চাপড়া হৃদয়পুরে বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডল খুনের কাণ্ডে গ্রেফতার অসীমা ঘোষ ও বিজয় ঘোষ। এরমধ্যেই জেলায় জেলায় স্পট ভিজিট সারছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আরও পড়ুন: সিপিএম নেতার গোপন অডিয়ো ফাঁস! কামারহাটি বোমাকাণ্ডে থানায় অভিযোগ দায়ের মদনের