Abhishek Banerjee at Shyamnagar: ‘শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতা যখন…’, শ্যামনগরের জনসমাবেশ থেকে ফের রাজ্যপালকে নিশানা অভিষেকের

TMC: অর্জুন সিংয়ের তৃণমূলে যোগদানের পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ব্যারাকপুরে জনসমাবেশ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Abhishek Banerjee at Shyamnagar: 'শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতা যখন...', শ্যামনগরের জনসমাবেশ থেকে ফের রাজ্যপালকে নিশানা অভিষেকের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 30, 2022 | 8:01 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: এই মুহূর্তে সবথেকে চর্চিত তরজা বোধহয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে। শনিবার হলদিয়ার এক মঞ্চ থেকে বিচারব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন অভিষেক। যা নিয়ে পাল্টা সরব হন রাজ্যপাল। মুখ্যসচিবকে পদক্ষেপ করার জন্য সময়সীমাও বেঁধে দেন। সোমবার শ্যামনগরের জনসমাবেশ থেকেই রাজ্যপালকে পাল্টা নিশানা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের বক্তব্য, “আমি বিচারব্যবস্থার এক শতাংশ নিয়ে যদি বলি, তার উত্তর দিচ্ছেন রাজ্যপাল। তার মানে ঠিক জায়গায় গিয়ে ঢিলটা পড়েছে। মৌচাকে ঢিল পড়েছে। বাকি আর আমি কিছু বলব না।” এদিন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন অভিষেক। এ প্রসঙ্গে তুলে আনেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষের কথা।

অর্জুন সিংয়ের তৃণমূলে যোগদানের পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ব্যারাকপুরে জনসমাবেশ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সমাবেশ থেকেই অভিষেক বলেন, “দু’দিন আগে বিচারব্যবস্থা নিয়ে একটা মন্তব্য করেছিলাম বলে মহামান্য রাজ্যপাল আমাকে বলেছেন, আমি নাকি সীমারেখা অতিক্রম করেছি। সীমারেখা কে অতিক্রম করছে?” অভিষেকের জোরাল দাবি, “আমার অধিকার রয়েছে, আমি কোনও বিচারের সমালোচনা করতেই পারি। বিচারব্যবস্থায় ৯৯ শতাংশ লোক খুব ভাল। ১ শতাংশ লোক কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক বা যাঁরা সরকারের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার ভূমিকায় রয়েছে তাঁদের কথা শুনে কিছু লোককে নিরাপত্তা দিচ্ছে।”

এদিনই একটি টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে রাজ্যে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির উপর আক্রমণ নেমে আসছে। বিচার ব্যবস্থার উপর আক্রমণ নিন্দার। একজন বিচারপতি যিনি, এসএসসি দুর্নীতিতে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁকে জনসভায় দাঁড়িয়ে আক্রমণ করা, অত্যন্ত নিন্দনীয় বিষয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ রয়েছে, যখনই বিচার বিভাগের উপর এমন আক্রমণ নেমে আসবে, তখন কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। সাংসদ নিজের সীমা অতিক্রম করে গিয়েছেন।’

রাজ্যপালের এই বক্তব্যকে খোঁচা দিয়েই এদিন অভিষেক বলেন, তিনি কোনও বিচারপতি সম্পর্কে একটাও কথা বলেননি। অভিষেকের কথায়, “আমি বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান করি। আমরা বিচার ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানাই, ৯৯ শতাংশ লোক এখনও মেরুদণ্ড সোজা রেখেছে বলে সকলে বেঁচে আছেন। সুপ্রিমকোর্টের মেরুদণ্ডটা সোজা, তাই ভারতবর্ষ ধ্বংস হয়ে যায়নি। যারা ভাবছে আমাকে ভয় দেখিয়ে ধমকে চমকে…। আমি তো একজনকে বলেছি, অন্যজন প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে কেন? ঠাকুর ঘরে কে আমি তো কলা খাইনি। আমি তো রাজ্যপালকে কিছু বলিনি। উনি বলছেন কেন, আমি সীমারেখা অতিক্রম করেছি? আমি তো কোনও বিচারপতি নিয়ে কোনও কথা বলিনি।”

এই কথার রেশ করেই তৃণমূল সাংসদ রাজ্যপালকে মনে করিয়ে দেন, তিনি সকলেরই রাজ্যপাল। দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রতি তাঁর নজর সমান হওয়া উচিৎ। কিন্ত তিনি তা করেন না বলে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, “দিলীপ ঘোষ যখন বলেন, পুলিশকে দিয়ে পা চাটাব আপনি ক’বার নিন্দা করেন? শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতা যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর শব্দ প্রয়োগ করেন, আপনি ক’বার নিন্দা করেন? হেমতাবাদকাণ্ডের পর দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্টে গিয়ে কোনও লাভ নেই । তখন ওনাকে কিছু বলেননি কেন?”