পতাকা বাঁধা নিয়ে বচসা, তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত দেগঙ্গা
তৃতীয় দফা ভোটের আগের দিন আইএসএফ (ISF) ও তৃণমূলের (TMC) সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দেগঙ্গার চৌরাশি গ্রাম পঞ্চায়েতের পালপাড়া এলাকা। আহত ৫
উত্তর ২৪ পরগনা: দলীয় পতাকা বাঁধাকে কেন্দ্র করে বচসা। আর তার জেরে তৃতীয় দফা ভোটের আগের দিন আইএসএফ (ISF) ও তৃণমূলের (TMC) সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দেগঙ্গার চৌরাশি গ্রাম পঞ্চায়েতের পালপাড়া এলাকা। সোমবার আর এই ঘটনাযকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গণ্ডগোলে আহত হলেন পাঁচ জন।
আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী মনিরুল ইসলামের দাবি, এদিন তাঁর বাড়ির সামনে আইএসএফ কর্মী ও সমর্থকরা জোর করে দলীয় পতাকা বাঁধছিল। কিন্তু তিনি এর প্রতিবাদ করেন। এর পরে তাঁর উপরে হামলা চালায় প্রায় ৩০ জন আইএসএফ কর্মী সমর্থক। তাঁর ভাই -সহ পাঁচ জনকে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মনিরুল জানান, বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেগঙ্গার জীবনপুর বাজারের তৃণমৃল কর্মী-সমর্থকরাও ঐক্যবদ্ধ হয়ে হাবরা পৃথিবা রোডের উপরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ শুরু করে তারা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তৃণমূল কর্মীদের উপরে যারা হামলা চালিয়েছে তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।
এদিকে তৃণমূলের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত দেগঙ্গা বিধানসভার ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট প্রার্থী করিম আলী। উল্টে তাঁর দাবি, তাঁর দলের কোনও কর্মী বা সমর্থক এই গণ্ডগোলে জড়িত নয়। বরং দলীয় কর্মীরা পতাকা বাঁধতে গেলে তৃণমূল নেতা মনিরুল ইসলাম দলবল নিয়ে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: বিজেপিকে মোকাবিলা না করতে পেরে হুইল চেয়ারে মমতা, কটাক্ষ সূর্যকান্তর
এদিকে এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দেগঙ্গা চৌরাশি জীবনপুর বাজারে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে, নামানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও।