আজ ২০ মে রাজ্যের সাত কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি, আরামবাগ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। ৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে এই দফার ভোটে। নিরাপত্তার দায়িত্বে ২৫ হাজারেরও বেশি পুলিশ। আজকের লড়াইয়ে আছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, পার্থ ভৌমিক, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপ্সিতা ধর, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু ঠাকুররা।
আমডাঙা: আমডাঙার ধাড়াপাড়ায় ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বের করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। সেই অভিযোগ অস্বীকার। আর এই খবর টিভি৯ বাংলায় সম্প্রচারের পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। প্রায় ১০ বছর পর ভোট দিতে পেরে টিভি ৯ বাংলাকে ধন্যবাদ জানালেন ভোটাররা।
গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে না পেরে মর্মাহত বাবুন। তিনি বলেন, ‘আমার মাথায় ঢুকছে না যে কী হল। ২২ সালে ভোটার হয়েছি। একজন নাগরিক হিসেবে ভোট দেওয়া তো অধিকার। কেন এমন হল, আমি জানতে চাইছি।’
বিস্তারিত পড়ুন: ভোট দিতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বাবুন, তালিকা থেকে ‘ডিলিট’ হয়ে গেল নাম!
ব্যারাকপুর: নির্বাচন হবে আর ব্যারাকপুরে অশান্তি থাকবে না এমনটা হতে পারে না। লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে ফের গন্ডগোল ছড়াল ব্যারাকপুরে। বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংকে কেন্দ্র করে উঠল গো-ব্যাক স্লোগান। ক্ষিপ্ত জনতাকে হটাতে লাঠিপেটা বাহিনীর।
পঞ্চম দফায় দিকে দিকে অশান্তির খবর রাজ্যে। হাজির পুলিশ, হাজির কেন্দ্রীয় বাহিনী, তার মাঝেই উত্তেজনা চরমে পৌঁছল হাওড়ায়। বিজেপি সমর্থকদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী।
বিস্তারিত পড়ুন: রক্তারক্তি-কাণ্ড হাওড়ায়! মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, অ্যাকশনে মহিলারাও
টিটাগড়: ধুন্ধুমার উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়। বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে ঘিরে বিক্ষোভ। ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁর গাড়ি। জানা গিয়েছে, শাসকদলের লোকজন বুথ জ্যাম করে ভোট করাচ্ছেন। এই নিয়ে অভিযোগ পেতেই সংশ্লিষ্ট বুথে যাচ্ছিলেন কৌস্তভ। এরপর তিনি পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। বুথে ঢুকতে গেলে তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
বিস্তারিত পড়ুন: Kaustav Bagchi: টিটাগড়ে হেনস্থা কৌস্তভকে, ভাঙা হল BJP নেতার গাড়ি
বেলা বাড়ার পই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার লিলুয়ার বজরঙবলী মার্কেট সংলগ্ন এলাকা। বুথের বাইরে বোমা-গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে বলে অভিযোগ। এরপরই বুথ ছেড়ে কার্যত পালিয়ে যান ভোটাররা। থমথমে হয়ে যায় গোয়া এলাকা।
বিস্তারিত পড়ুন: হঠাৎ বোমার শব্দ, গুলির আওয়াজ! প্রাণ হাতে ছুটছেন ভোটাররা, এ কোন ছবি ভোটের বাংলায়
হুগলি: সকালবেলা থেকেই কার্যত অ্যাকশন মোডে ছিলেন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ডোমজুড়ে সিপিএম-এর পোলিং এজেন্টকে মারধর করে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরই এজেন্টেকে ফের বুথে বসাতে যান সিপিএম নেত্রী। তখনই তাঁকে দেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন প্রচুর তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। ওঠে জয় বাংলা স্লোগান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আরও পডুন: Dipsita Dhar: নামাজের সময় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান কেন? প্রশ্ন তুললেন দীপ্সিতা
আরামবাগের মায়াপুরে ১ পঞ্চায়েতের শুশনিপাড়ায় আক্রান্ত চারজন বিজেপি কর্মী। তাঁদের আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পাঁচলার একটি বুথে বাম প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়কে দেখে বিক্ষোভে গ্রামবাসীরা। উঠল জয় বাংলা স্লোগান। প্রার্থীর অভিযোগ, ওই কেন্দ্রে প্রচুর ভুয়ো ভোটার রয়েছেন। সেটা দেখতেই প্রার্থী যখন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন তখনই গ্রামবাসীদের সঙ্গে তীব্র বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাম প্রার্থী। পরে সিআরপিএফ এসে ঝামেলা সরিয়ে দেয়।
ধনেখালির মুইদিপুরে উত্তেজনা, বাদানুবাদ, চরম বিশৃঙ্খলা ছবি। সরাসরি ভিডিয়ো কলের মারফত দেখলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ভিডিয়ো কল করেছিলেন শুভেন্দু।
ধনেখালি: একজন বলছেন চোর। অন্যজন বলছেন ডাকাত। কার্যত অশান্ত হুগলির ধনেখালি। হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় বুথে পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে ডাকাত স্লোগান। অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র তুললেন ‘ডাকাত’ স্লোগান। পাল্টা আবার লকেট বললেন, ‘চোর’ দুই রাজনৈতিক দলের দুই নেত্রীর বাকবিতণ্ডায় উত্তপ্ত ধনেখালি।
বিস্তারিত পড়ুন: Locket-Ashima chaos: উত্তপ্ত ধনেখালি, একদম মুখোমুখি লকেট-অসীমা, একজন বললেন ‘চোর’, অন্যজন ‘ডাকাত’
লকেট চট্টোপাধ্য়ায়কে ঘিরে বিক্ষোভ ধনিয়াখালিতে। তৃণমূলের বিক্ষোভেরও মুখে পড়তে হয় লকেটকে। তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, “ওনারা তো ডাকাত। এখানে এসে নাটক করছেন কেন? ভালভাবে ভোট হচ্ছে দেখে এসেছেন ঝামেলা করতে। এতদিনে একবারও আসেননি।”
শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ডোমজুড় দেবীপাড়ায় বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। টেবিল চেয়ার ভাঙচুর, বাইক ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি উঁচিয়ে দু’দলের সমর্থকদের দিকে তেড়ে যেতে হয় পুলিশকে। তৃণমূল এবং বিজেপির বেশ কয়েকজন সমর্থককে আটক করা হয়েছে।
বনগাঁ: বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। সেই সময় তাঁকে ঘিরে ধরলেন দলেরই কর্মী সমর্থকরা। বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তাঁরা। জানালেন, মহিলাদের সঙ্গে অশ্লীল ব্যবহার করেছেন রাজ্য পুলিশেরই এক কর্মী। বিষয়টি শুনেই ক্ষুব্ধ হন তৃণমূল প্রার্থী।
বিস্তারিত পড়ুন: মহিলাদের ‘গালিগালাজ’,রাজ্য পুলিশের আধিকারিকের বিরুদ্ধে নালিশ বিশ্বজিতের
উলুবেড়িয়া: ভোটের ডিউটিতে কাজে এসেছিলেন বিএসএফ জওয়ান। অভিযোগ, আচমকাই ওই মহিলাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খান জওয়ান। উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়ায় ঘটা এই অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে জানায় তৃণমূল। আর তারপরই নড়েচড়ে বসে কমিশন। খেসারত দিতে হল ওই জওয়ানকে।
শ্রীরামপুর: শ্রীরামপুরের চাকুন্ডি হাইস্কুলে তখন পৌঁছেছেন তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট গ্রহণ চলাকালীন বুথের ভিতরে প্রবেশ করতে যান তিনি। তবে দেখা গেল কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান প্রবেশে বাধা দেয় তাঁকে। পরে তিনি হিন্দিতে জওয়ানকে বলেন, “আরে আমি প্রার্থী।” এর কিছুক্ষণ পর ভিতরে প্রবেশ করতে যান তিনি।
বিস্তারিত পড়ুন: Kalyan Banerjee: ‘আরে পুছকে আইয়ে, আমি প্রার্থী কল্যাণ ব্যানার্জী…’, বাধা পেতেই জওয়ানকে বোঝালেন কল্যাণ
ভোটে তপ্ত বারাকপুর। অর্জুন সিং-কে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। মহিলা বিজেপি কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। নির্বাচন কমিশনে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছেন অর্জুন সিং। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। সংবাদমাধ্যমের সামনেই অর্জুন সিংকে হুমকি দিতে দেখা গেল এক যুবককে। উল্লেখ্য এই যুবকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলছিলেন অর্জুন। আর তা শোনা মাত্রই ওই যুবক ক্যামেরার সামনেই অর্জুনকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন।
বিস্তারিত পড়ুন: অর্জুন সিং-কে চমকাচ্ছেন, ‘বাড়াবাড়ি করিস না, কী করবি? কিচ্ছু করতে পারবি না….’, বারাকপুরের বুকে এ কোন ‘বনি’?
সকাল ১১টা অবধি কোথায় কত ভোট।
ভোট দিলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। ডোমজুড় বিধানসভার মতিগড় অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলে ভোট দিলেন তিনি।
পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ শান্তনু ঠাকুরের। কল্যাণীর গয়েশপুর সকাল থেকে হটস্পট। এলাকার বিভিন্ন বুথে অভিযোগ পেয়ে ছুটে যাচ্ছেন শান্তনু। তাঁর অভিযোগ, তিনি যাওয়ার আগেই সাইরেন বাজাচ্ছে পুলিশ। ভোট লুঠ করা দুষ্কৃতীদের সতর্ক করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ বিদায়ী সাংসদের।
তৃণমূলের এজেন্ট বলে পরিচয় দিলেও তাঁর নথি কিছু নেই। তাঁকে হাত ধরে বের করে দিলেন লকেট। সুশান্ত দে নামে ওই ব্যক্তি যাতে আর ঢুকতে না পারে তার জন্য পুলিশের কাছে দাবি করলেন। ধনিয়াখালি দশঘড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বুথের ঘটনা। সুশান্ত দে দাবি করেছেন, তিনি রিলিভার এজেন্ট। কিন্তু কোনও নথি নেই।
স্বরূপনগর বিধানসভার নবাবকাটি মোড়ল পাড়া এলাকায় ভোটারদের কোপ মারার অভিযোগ উঠল। বিজেপি সমর্থিত ভোটারদের উপর হামলার অভিযোগ। বনগাঁ বিজেপি জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে ক্রিমিনাল নিয়ে এসে ভোটারদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও একাধিক ওয়ার্ডে ১০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূল কর্মীরা ঢুকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বলেও অভিযোগ বিজেপির।
লিলুয়ার ভারতীয় স্কুল ১৭৬ নম্বর বুথে ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বন্ধ। প্রিসাইডিং অফিসারের বক্তব্য, তাঁকে চড় থাপ্পড় মেরে ভোট প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী আসলে তাঁর সামনেই প্রিসাইডিং অফিসার সম্পূর্ণ ঘটনা জানান।
সকাল ৯টা পর্যন্ত মোট অভিযোগ জমা পড়েছে ৪৭১টি। সরাসরি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে অভিযোগ জমা পড়েছে ৭২ টি, যার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ৩০টি, সিপিএম ২৫টি ও বিজেপি ২২টি অভিযোগ করেছে। এছাড়া এনজিআরএস ও সি-ভিজিল অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জমা পড়েছে যথাক্রমে ৩০০টি ও ৯৯ টি।
২ লক্ষ টাকা নগদ, দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ বিজেপি নেতা স্বরাজ ঘোষের গাড়ি আটক করেছে হুগলির দাদপুর থানার পুলিশ। নাকা চেকিংয়ের সময় এই টাকা উদ্ধার হয়। স্বরাজের নিরাপত্তারক্ষীর কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২টি আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশ জানিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ছিল। তবে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ভোটের সময় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরতে গেলে জেলাশাসক বা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি নিতে হয়, সেটা ছিল না। রবিবার রাতের ঘটনা। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি প্রিয়ব্রত বক্সি জানান, দাদপুর থানা ও নির্বাচন কমিশনের এসএসটি টিম নাকা তল্লাশি চালানোর সময় স্বরাজ ঘোষের গাড়ি থেকে টাকা ও অস্ত্র উদ্ধার করে। স্বরাজ ঘোষ কিছুদিন আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।
ভোটের সকালে বিস্ফোরক দাবি বিজেপির বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। লকেট বলেন, সক্রিয় রাজনীতি করতে হলে রচনাকে বিজেপিতে আসতেই হবে। শুনে রচনা হেসে খুন। সবিস্তারে: ‘রচনা বিজেপিতে আসবেন’, লকেটের কথা শুনে কী বললেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’?
ভোটের সকালে নৈহাটি বড় মার মন্দিরে পুজো দিলেন তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক।
আইপ্যাকের বিরুদ্ধে টাকা বিলির অভিযোগ তুললেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। সোমবার পঞ্চম দফার ভোটে সকাল থেকেই ময়দানে লকেট। সেখানেই তিনি অভিযোগ তোলেন, “রবিবার আইপ্যাকের জনা ২০ ছেলে ঢুকেছে এলাকায়। খবর এসেছে ওরা থলে ব্যাগে টাকা নিয়ে ঢুকেছে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে আছে।” সবিস্তারে: ‘আইপ্যাকের ছেলেরা টাকা নিয়ে ঢুকেছে’, ভোটের সকালে অভিযোগ লকেটের
ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের ব্যারাকপুর বিধানসভার টিটাগড় ২১৫ নম্বর বুথে উত্তেজনা। ভোট কেন্দ্রের ভিতরে ভুয়ো এজেন্ট বসানোর অভিযোগ। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ। বের করে দিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। নিজেকে এজেন্ট পরিচয় দিয়ে ভোটকেন্দ্রের ভিতরে ঢুকেছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু ওই ব্যক্তি ওই বুথের ভোটার নন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে সেই বুথ কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাথে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা।
সকাল সকাল ভোট দিলেন অর্জুন সিং।
সকাল সকাল ভোট দিলেন শ্রীরামপুরের সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। ভোট দিয়ে তিনি বলেন, “আমি একমাত্র নিজেকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলাম আমার লোকসভায়। বাকি প্রার্থীরা পাবেন না। আমি এদিক থেকে ওনাদের থেকে অন্তত ১ ভোটে এগিয়ে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এজেন্টদের না বসতে দেওয়া শুরু করেছে। আমিও দেখি কতক্ষণ পারেন।”
পুরশুড়ার বালিপুর মেলাতলা হাইস্কুলে বুথ নম্বর ২৬১তে বিজেপির এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। খানাকুলের বালিপুর ২৫৯ এবং ২৬০ নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্টকে ঢুকতে বাধার অভিযোগ।
আমতায় বিজেপির বুথ সভাপতির ভাইপোর উপর হামলার অভিযোগ। রবিবার রাতে এই হামলার অভিযোগ উঠেছে। উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের আমতা বিধানসভার ২২৩ নম্বর বুথ সভাপতির ভাইপোর উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। সবিস্তারে পড়ুন: ভোটের আগের রাতে বিজেপির বুথ সভাপতির ভাইপোকে মারধর, ঝরল রক্ত
সকাল থেকে ময়দানে লকেট চট্টোপাধ্যায়। বলেন, “নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত, আমরাও প্রস্তুত। আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ দুর্নীতি। এখানে কে অভিজ্ঞ, কে অনভিজ্ঞ, কে সিনেমা করে, কে কী করে তা বিষয় নয়। মানুষের সেবা করার জন্য যা যা করার করে গিয়েছি। আমাদের পোলিং এজেন্টের গায়ে হাত পড়লে সেভাবেই ট্রিটমেন্ট করব।”
বনগাঁয় বিদায়ী সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকেই প্রার্থী করেছে বিজেপি। তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পদ্মশিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে ফিরে আসা বিশ্বজিৎ দাস। এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী প্রদীপ বিশ্বাস।
ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। তৃণমূলের প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। সিপিএমের দেবদূত ঘোষ। জামির হোসেন আইএসএফ প্রার্থী।
উলুবেড়িয়ায় বিদায়ী সাংসদ সাজদা আহমেদকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অরুণোদয় পাল চৌধুরী। এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী আজহার মল্লিক।
হাওড়ায় বিদায়ী সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রথীন চক্রবর্তী। এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।
হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে এবারও প্রার্থী করেছে বিজেপি। তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই কেন্দ্রে সিপিএমের প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ।
হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য মিতালি বাগকে আরামবাগে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অরূপকান্তি দিগার। এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী বিপ্লব কুমার মৈত্র।
শ্রীরামপুরে তৃণমূলের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির প্রার্থী কবীরশঙ্কর বোস। সম্পর্কে তাঁরা প্রাক্তন শ্বশুর-জামাই। সিপিএম এখানে প্রার্থী করেছে দীপ্সিতা ধরকে।