Madan Mitra: ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় বড় নেতা হয়েও জেলে’, স্যান্ডো গেঞ্জি পরে তৃণমূল কাউন্সিলরকে ‘চমকালেন’ মদন
Kamarhati: কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে রেল লাইনের পাশে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন মিনারা খান নামে ওই মহিলা।
উত্তর ২৪ পরগনা: বাড়ি তৈরিতে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল কামারহাটির (Kamarhati) কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। লোক পাঠিয়ে ৩ লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মলা রাইয়ের বিরুদ্ধে। কামারহাটির ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মলা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্থানীয় মিনারা খান। মিনারার বক্তব্য, নিজের জমিতেই ঘর তুলবেন তিনি। অথচ তাঁর জন্য কাউন্সিলর ৩ লক্ষ টাকা চেয়ে লোক পাঠিয়েছেন। যদিও এই অভিযোগ নিয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি কাউন্সিলর। তবে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে রেল লাইনের পাশে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন মিনারা খান নামে ওই মহিলা। মিনারার নিজস্ব জমি আছে। সেখানে ঘর করবেন বলে ঠিক করেন তিনি। অভিযোগ, সেই ঘর করার জন্য তিন লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। আরও অভিযোগ, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর নির্মলা রাই টাকার জন্য তাঁর বাড়িতে লোকজন পাঠান।
মিনারা সেই টাকা দিতে নারাজ। তিনি বলেন, “আমি আমার জমিতে ঘর করার জন্য কেন কাউন্সিলরকে টাকা দেব? কাউন্সিলর নিজে সরাসরি বলছেন না। লোক দিয়ে বলাচ্ছেন ৩ লক্ষ টাকা চাই। আমি কোথায় পাব ৩ লক্ষ টাকা?” এ বিষয়ে এলাকার বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, “কোনও বাসিন্দা যদি লিখিতভাবে আমাদের কাছে অভিযোগ করেন, আমরা সেই অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখব। অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে সে যেই হোক না কেন। নির্মলার থেকে অনেক বড় নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেও কিন্তু আজ এক বছর হতে চলল জেলে আছে। ৩ লক্ষ টাকা বাড়ি করে দেওয়ার জন্য চাওয়া অপরাধ। আমাদের কাছে এই মুহূর্তে কোনও কাগজপত্র নেই। তবে তথ্যপ্রমাণ পেলে আর এক মুহূর্ত দেরি করব না। আমরা ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে খবরাখবর নেওয়া শুরু করেছি।”
যদিও এই ঘটনাকে সামনে রেখে এলাকায় রাজনৈতিক তরজাও শুরু। বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, “সত্যি প্রমাণিত হয় মানে কী? প্রমাণটা কে করবে? এটা কখনওই সত্যি প্রমাণ হবে না। আর ওনার বিরুদ্ধে কোনও ব্য়বস্থাও নেওয়া হবে না আমরা নিশ্চিত। কারণ এই তোলাটা তো শুধু কাউন্সিলর পাচ্ছে এমন নয়। ওই টাকা থেকে ভাগ হচ্ছে। উপরমহলেও যাচ্ছে। তাই এই তোলাবাজি সত্য, তা কখনও প্রমাণ হবে না।”