Madan Mitra: ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘরজামাই বানালে স্বাস্থ্যসাথী-লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা মিলবে না’, কারণ ব্যাখ্যা করলেন মদন

West Bengal Panchayat Elections 2023: বেলঘড়িয়ার একটি অনুষ্ঠান থেকে মদন বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে মন্তব্য করেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মদন আশঙ্কা করেন যে তাঁরা থাকলে হয়ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-আর স্বাস্থ্য সাথীর টাকা নাও পেতে পারেন রাজ্যবাসী।

Madan Mitra: 'কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘরজামাই বানালে স্বাস্থ্যসাথী-লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা মিলবে না', কারণ ব্যাখ্যা করলেন মদন
মদন মিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 21, 2023 | 9:04 AM

বেলঘড়িয়া: রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। কলকাতা হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টও সেই নির্দেশ দিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসা নিয়ে যে মোটেই খুশি নয় শাসকদল তা আরও একবার প্রমাণিত হল কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra) কথায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে রাজ্যবাসী কী কী সমস্যায় পড়বেন সেই কথাও জানালেন তিনি।

বেলঘড়িয়ার একটি অনুষ্ঠান থেকে মদন বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে মন্তব্য করেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মদন আশঙ্কা করেন যে তাঁরা থাকলে হয়ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-আর স্বাস্থ্য সাথীর টাকা নাও পেতে পারেন রাজ্যবাসী। মদনের কথায়, “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘর জামাই করে দিন। এখানেই থাকবে। শেষ অবধি আমাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-স্বাস্থ্য সাথীর টাকা পাওয়া যাবে না। কারণ সব টাকা ওরাই খেয়ে নেবে।” এরপর ব্যাঙ্গের সুরে তিনি বলেন, “ওরা আবার গোটা-গোটা খায়। আস্ত-আস্ত মাংস খায়। এত বড় বড় চেহারা।”

প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই টালবাহানা চলছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজ্য পুলিশের উপরই আস্থা রাখতে বলেছিলেন। কিন্তু অবাধ শান্তিপূর্ণ ভোট হবে না এই আশঙ্কা করে বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তেই অনড় ছিল।

এরপর হয় মামলা। প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য। কিন্তু কমিশন তখন বলে, তারা স্পর্শকাতর জেলা বলে কিছু চিহ্নিতই করেনি। সেই নিয়ে আবার পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে যায় কমিশন। তখন আদালত জানিয়ে দেয়, সব জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের।

এরপর সুপ্রিম কোর্টে যায় কমিশন। কিন্তু সেখানেও একই রায় বহাল থাকে। পরে উচ্চ-আদালতের নির্দেশ মেনে প্রতিটি জেলার জন্য ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় কমিশন।