Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Asansol: স্ট্রং রুমের ক্যামেরা বন্ধ! প্রতিবাদের পরই পুলিশের খাতায় নাম ৩১ বিরোধী নেতার

Asansol: আসানসোলের নব নির্বাচিত তিন বিরোধী কাউন্সিলর-সহ ৩১ জন বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতা, কর্মীর নামে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

Asansol: স্ট্রং রুমের ক্যামেরা বন্ধ! প্রতিবাদের পরই পুলিশের খাতায় নাম ৩১ বিরোধী নেতার
কংগ্রেসের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 18, 2022 | 5:57 PM

আসানসোল: স্ট্রং রুমের সিসিক্যামেরা বন্ধ থাকার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রার্থী, কর্মীরা। অভিযোগ, এরপরই পুলিশ তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ ৩১ জনের নামে মিথ্যা মামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে শুক্রবার পুলিশ কমিশনার অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় আসানসোল পুলিশ কমিশনারের অফিসের বাইরে। অভিযোগ, ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে আসানসোল পলিটেকনিক কলেজে যে স্ট্রং রুম খোলা হয়েছিল, সেখানে এক ঘণ্টা সিসিক্যামেরা বন্ধ করে রাখা হয়। এর জেরে স্ট্রং রুমের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা, ছিলেন প্রার্থীরাও। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের হঠাতে গণনাকেন্দ্রের বাইরে লাঠি চালায় পুলিশ। একইসঙ্গে গন্ডগোল করার অভিযোগ তুলে বিরোধীদের ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়। দশজন বিরোধী প্রার্থী ও তিন বিজয়ী প্রার্থীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এই ঘটনায়।

এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের অফিসে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। অভিযোগ, কংগ্রেসের সাত থেকে আটজন প্রার্থী ও দু’জন বিজয়ী প্রার্থীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় আসানসোল উত্তর থানার ওসি ও সিআইয়ের অপসারণের দাবি তোলেন তাঁরা। এদিন পুলিশ কমিশনারের অফিসে কংগ্রেস কর্মীরা ঢুকতে গেলে তাঁদের পুলিশি বাধার মুখেও পড়তে হয় বলে অভিযোগ। যদিও বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর কংগ্রেসের পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দল পুলিশ কমিশনার সুধীরকুমার নীলকান্তমের কাছে স্মারকলিপি দেয়। কংগ্রেস কর্মীদের দাবি, পুলিশ কমিশনার উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।

আসানসোল পুরনিগমের ভোট ঘিরে দফায় দফায় গোলমালের অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস একযোগে অভিযোগ তুলেছিল এলাকায় কমিউনিটি হলে বহিরাগতদের ঢুকিয়ে রেখেছে শাসকদল। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিরোধীরা। তাদের দাবি, পুলিশ পুরোপুরি শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। ভোটের দিনও ভোট লুঠ করার অভিযোগ তোলা হয়। এমনকী একটি বুথের বাইরে গুলিও চলে বলে অভিযোগ।

আসানসোলের নব নির্বাচিত তিন বিরোধী কাউন্সিলর-সহ ৩১ জন বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতা, কর্মীর নামে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এছাড়াও শতাধিক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির নামে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয়েছে আসানসোল উত্তর থানা পুলিশের তরফে। এফআইআর করেছেন আসানসোল উত্তর থানার ওসি তন্ময় রায়।

সূত্রের খবর, ৩১ জনের বিরুদ্ধে অতিমারি আইন ভঙ্গ, নির্বাচন বিধি না মানা, সরকারি কাজে বাধা, হুমকি দেওয়া-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ তোলা হয়েছে। এমনও সূত্রের খবর, অধিকাংশ ধারাই জামিন অযোগ্য। সেই এফআইআর আসানসোল আদালতে সিজেএমের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। যদিও অভিযুক্তদের মধ্যে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বা কেউ জামিন নিতে আদালতে আত্মসমর্পণও করেননি। যে তিন বিরোধী দলের কাউন্সিলের নাম এফআইআরে রয়েছে, তার মধ্যে দু’জন হলেন কংগ্রেসের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের এসএম মুস্তফা ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাম সরোবর। নাম রয়েছে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির গৌরব গুপ্তেরও।

পশ্চিম বর্ধমানের কংগ্রেস জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের বলা হয়েছিল দেড় ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হয়নি, তা পরে দেখানো হবে। আজও দেখলাম না। অথচ দেখা গেল ৩১ জনের নামে কেস করে দিয়েছে। অধিকাংশই কংগ্রেসের কর্মী, কংগ্রেসের কাউন্সিলর, কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টদের নাম।”

আরও পড়ুন: RSS Sakha: হঠাৎ করে রাজ্যে বন্ধ আরএসএসের হাজারখানেক শাখা! নেপথ্যে কি বিজেপির কোন্দল?