Asansol School: পড়ুয়া পাঁচ, শিক্ষক দুই! দোতলা সরকারি স্কুলভবনটা খাঁ খাঁ করে…ছাত্র ছাড়ার নেপথ্যে অদ্ভুত কারণ

TV9 Bangla Digital

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Updated on: Feb 09, 2023 | 11:24 AM

Asansol School: স্কুলের টিচার ইনচার্জ মঞ্জু কুমারী জানান, স্কুলের সামনে রয়েছে জিটি রোড। সেই জিটি রোড পার করে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে আসতে হয়।

Asansol School: পড়ুয়া পাঁচ, শিক্ষক দুই! দোতলা সরকারি স্কুলভবনটা খাঁ খাঁ করে...ছাত্র ছাড়ার নেপথ্যে অদ্ভুত কারণ
আসানসোলের এই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৫

আসানসোল: আস্ত একটা স্কুল। দোতলা বিল্ডিং। কিন্তু স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা মাত্র ১১। স্কুলে পড়ুয়ার উপস্থিতির হার গড়ে পাঁচ জন। রয়েছেন দু’জন স্কুল শিক্ষক। আসানসোলের সরকার অনুমোদিত দুর্গা বিদ্যালয়ের এমনই দৃশ্য ধরা পড়লো TV9 বাংলার ক্যামেরায়। কেন এই অবস্থা ? কেন স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা এত কম ? ঘটনার সমীক্ষা করতে গিয়ে উঠে এল অদ্ভুত সব যুক্তি। আসানসোলের জিটি রোডের ধারে তালপুকুরিয়া এলাকায় ঠিক নুরুদ্দিন রোডের মোড়ের উলটো দিকেই রয়েছে হিন্দি মাধ্যম স্কুল দুর্গা বিদ্যালয়। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। স্কুলটি ১৯২৭ সালে স্থাপিত হয়েছিল। নব্বইয়ের দশকেও এই স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে তিনশো। এক কামরার এই স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য জায়গা দিতে পারতেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কিন্তু আজ দেখলে অবাক হতে হয়। কখনও তিনজন, কখনও পাঁচজন ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে স্কুল চালাচ্ছেন স্কুলের টিচার ইনচার্জ মঞ্জু কুমারী এবং শিক্ষক বাবলু ভগৎ। দিনের পর দিন ছাত্র-ছাত্রী কমতে কমতে একদম তলানিতে ঠেকেছে। স্কুলের টিচার ইনচার্জ মঞ্জু কুমারী এবং বাবলু ভগৎ দু’জনের দাবি এলাকায় ঘুরে ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে আসার জন্য তাঁরা নাকি চেষ্টা করেছেন। অভিভাবকরা এই স্কুলে পাঠাতে চান না-ছাত্র-ছাত্রীদের।

স্কুলের টিচার ইনচার্জ মঞ্জু কুমারী জানান, স্কুলের সামনে রয়েছে জিটি রোড। সেই জিটি রোড পার করে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে আসতে হয়। এই কারণে অনেকেই স্কুলে আসতে চায় না। এছাড়াও স্কুলটি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। অন্যান্য হিন্দি বিভাগ স্কুলগুলি প্রথম থেকে একদম, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। সেখানেই অভিভাবকরা ভর্তি করাচ্ছেন সন্তানদের। তাই কমে আসছে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা। শিক্ষক বাবলু ভগতের দাবি ওই স্কুলের পেছনে রেলের আবাসন ছিল। সেই আবাসনের ছেলেমেয়েরা এই স্কুলে আসতেন। কিন্তু আবাসনটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওই সমস্ত ছেলেমেয়েরা অন্যত্র চলে গিয়েছে। তারপর থেকেই স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা কমে গিয়েছে।

আর পড়ুয়ারা বলছেন, বন্ধুরা চলে গিয়েছে বেশিরভাগই। একা লাগে তাদের। স্কুলের এত কম সংখ্যায় পড়ুয়াদের নিয়ে মিড ডে মিল চালানো সম্ভব নয়। তাই তাদেরকে হাত ধরে জিটি রোড পার করিয়ে অন্য স্কুলে মিড ডে মিল খাওয়াতে নিয়ে যাওয়া হয়। আর এভাবেই চলছে দুর্গা বিদ্যালয়।

এই খবরটিও পড়ুন

জেলা প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শক দেবব্রত পাল ফোনে জানান, ওই বিদ্যালয়ে যাওয়া হয়েছে, বৈঠকও হয়েছে। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

জেলা স্কুল শিক্ষা পরিদর্শক সুনীতি সাপুইয়ের দাবি, তিনি নাকি মিডিয়া অ্যালাও করেন না। প্রশ্ন শোনার আগেই দুর্ব্যবহার। পরে জানালেন প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে তিনি কিছু জানেন না। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা স্কুল পরিদর্শক দেবব্রত পালও অফিসে নেই। তিনদিন তাঁকে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত ফোনে পাওয়া গেল। দায়সারা উত্তর। ড্রপ আউটের সংখ্যা কী করে বাড়ানো যায়, তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Latest News Updates

Follow us on

Related Stories

Most Read Stories

Click on your DTH Provider to Add TV9 Bangla