Asansol: জেলায় ১৮, কেবল একটা এলাকাতেই আক্রান্তের সংখ্যা ১৩, হু হু করে বাড়ছে প্রকোপ
Asansol: জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাক্তার শেখ ইউনুস খান জানিয়েছেন, পুরনিগম এবং ব্লকগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। ডেঙ্গি রোধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এই মুহূর্তে পশ্চিম বর্ধমানের দুই পুর এলাকা ও আটটি ব্লকে ডেঙ্গি প্রকোপ বড়সড় আকার না নিলেও, সতর্ক ও সজাগ রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর বলে দাবি জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের ।
আসানসোল: নিকাশি ব্যবস্থা খারাপ। আবর্জনা পরিষ্কার হয় না। বর্ষায় ডাস্টবিনের আবর্জনা নেমে আসছে রাস্তায়। পুরসভা উদাসীনের মধ্য দিয়ে হঠাৎ করে বেড়েছে ডেঙ্গির প্রকোপ। আসানসোল পুরনিগমের উপর ক্ষোভ উপড়ে দিলেন দক্ষিণের বিধায়ক তথা বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। মেয়র দুই ডেপুটি মেয়রের উদ্দেশ্যে তিনি বার্তা দেন, আবর্জনা নিকাশির অবস্থায় এরকম থাকলে তারা এবার রাস্তায় নেমে অবরোধ করবেন। যদিও বিজেপি বিধায়কের অভিযোগকে পাত্তা দিতে চাননি পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। তার দাবি, ওঁ তো আসানসোলেই থাকেন না। ডেঙ্গির জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনইও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় জানুয়ারি থেকে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ জন। তার মধ্যে আসানসোল পুরনিগম এলাকায় আক্রান্তর হার সবচেয়ে বেশি। আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ১৩ জন ডেঙ্গি আক্রান্তর হদিশ পাওয়া গেছে। গত দুসপ্তাহে দূর্গাপুর পুর এলাকায় এই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৫ জন। আসানসোল পুর এলাকায় ৩ জন। অর্থাৎ জেলায় দু সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্ত ৮ জন।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাক্তার শেখ ইউনুস খান জানিয়েছেন, পুরনিগম এবং ব্লকগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। ডেঙ্গি রোধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এই মুহূর্তে পশ্চিম বর্ধমানের দুই পুর এলাকা ও আটটি ব্লকে ডেঙ্গি প্রকোপ বড়সড় আকার না নিলেও, সতর্ক ও সজাগ রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর বলে দাবি জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের । ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে ডেঙ্গি থেকে বাঁচতে সচেতন করছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। শহর ও গ্রাম দুই এলাকাতে স্বাস্থ্য কর্মীরা নজরদারি করছেন ও খোঁজখবর নিচ্ছেন যে, কারো ডেঙ্গি উপসর্গ আছে কিনা।
জেলার সিএমওএইচ বলেন, “জেলার দুটি মহকুমায় ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে দুটি বৈঠক করা হয়েছে। রাজ্যের ডেঙ্গি নিয়ে যে নির্দেশিকা আছে তা প্রত্যেককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথাও জলে জমে আছে কি না তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পরিত্যক্ত বাড়ি ও নির্মীয়মান বাড়িতে জল জমে আছে কি না তা দেখা হচ্ছে। তবে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক আশ্বাস দিলেও বাস্তব বলছে অন্য কথা। এখানে উঠে আসছে পুরনিগমের গাফিলতি।”