Asansol news: ‘আপনাদের সবসময় দেখছি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে, কিছু বলি না বলে…’, ট্রাফিক কিয়স্কে মেজাজ হারালেন কাউন্সিলর

Traffic Kiosk: জানা গিয়েছে, এদিন সকালে আসানসোল পুরনিগমের এক সাফাইকর্মীর দুই চাকার গাড়িকে আটকায় পুলিশ। ওই সাফাইকর্মী সেই সময় হেলমেট পরে ছিলেন না বলে অভিযোগ।

Asansol news: 'আপনাদের সবসময় দেখছি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে, কিছু বলি না বলে...', ট্রাফিক কিয়স্কে মেজাজ হারালেন কাউন্সিলর
আসানসোলের ট্রাফিক কিয়স্ক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2022 | 6:08 PM

আসানসোল: আসানসোলের (Asansol) কাল্লা মোড় এলাকায় কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশকে হুমকি তৃণমূল কাউন্সিলরের। ট্রাফিকের কিয়স্কের ভিতরে ঢুকে বললেন, “আপনাদের সবসময় দেখছি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। কিছু বলি না বলে… আপনারা বেশি মাতব্বর হয়ে গিয়েছেন? নিজেকে কী ভাবছেন? সাধারণ মানুষকে ডিস্টার্ব করছেন? আমরা সব জানি। সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করছেন? বাড়াবাড়ি করছেন? চাকরি করতে এসেছেন, চাকরি করুন।” কেন হঠাৎ এভাবে মেজাজ হারালেন ওই কাউন্সিলর?

জানা গিয়েছে, এদিন সকালে আসানসোল পুরনিগমের এক সাফাইকর্মীর দুই চাকার গাড়িকে আটকায় পুলিশ। ওই সাফাইকর্মী সেই সময় হেলমেট পরে ছিলেন না বলে অভিযোগ। সেই কারণেই তাঁকে জরিমানা করা হয়। চালানও কাটেন কর্তৃব্যরত ট্রাফিক পুলিশ। এদিকে ওই সাফাইকর্মীর দাবি, তিনি বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় একটি ফোন আসে। তিনি হেলমেট খুলে গাড়ি দাঁড় করিয়ে কথা বলছিলেন ফোনে। সেই সময় তাঁকে আটকায় ট্রাফিক পুলিশ। এক হাজার টাকা জরিমানা করে চালান কাটা হয়। আর এই খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যান আসানসোল ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্যাম সোরেন।

সেখানে পৌঁছেই সোজা তিনি ঢুকে পড়েন ট্র্যাফিক পুলিশের কিয়স্কে। মেজাজ একটু গরমই ছিল। আর তখনই ট্র্যাফিক পুলিশের উদ্দেশে এই মন্তব্য করেন তিনি। ঘটনার জেরে পুলিশ ও কাউন্সিলরের মধ্যে বেশ বাদানুবাদের পরিস্থিতিও তৈরি হয়। কাউন্সিলর পরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমাদের সাফাইকর্মীরা কালীপুজো, ছটপুজোয় সকাল থেকে পরিষেবা দিচ্ছেন। সারা বছর পরিষেবা দেন। গাড়িতে হেলমেট থাকা সত্ত্বেও এদের হাজার টাকা চালান কাটা হয়েছে। আমরা একাধিকবার অভিযোগ করেছি। হাইওয়ের পাশে চেকপোস্টে তোলাবাজি করা হয় প্রচুর। আমাদের সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা করা হয়।”

তিনি আরও বলেন, ” যাঁদের দৈনিক আয় মাত্র ১৫০ টাকা, তাঁদেরও হাজার টাকা ফাইন করছে। আমরা এর বিরোধিতা করছি।” এদিকে ওই ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন অপর এক কাউন্সিলর উৎপল সিনহাও। তাঁর মধ্যস্থতায় পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। ক্যামেরায় এই বিষয়ে কিছু না বললেও পুলিশের তরফে জানানো হয়, ওই সাফাই কর্মীর গাড়িতে হেলমেট ছিল। কিন্তু মাথায় ছিল না। তাই ফাইন করা হয়েছে।