Trinamool Congress: ‘ডাকা হয়নি পঞ্চায়েত স্তরের একাধিক নেতাকে’, শাসকদলের বিজয়া সম্মিলনী ঘিরে উঠল প্রশ্ন
Asansol: রানিগঞ্জের আসানসোল দক্ষিণ গ্রামীণ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জেকে নগর বাজারের নবনীত ক্লাব চত্বরে শুক্রবার ছিল বিজয়া সম্মিলনী।
পশ্চিম বর্ধমান: শাসকদলের বিজয়া সম্মিলনী। সেই অনুষ্ঠানে তৃণমূলের (Trinamool) অন্তর্দ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, বিধায়কদের উপস্থিতি নজরে এলেও ছিলেন না একাধিক গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন এমন দলের নেতা কর্মীদের গা ছাড়া মনোভাব? যা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
রানিগঞ্জের আসানসোল দক্ষিণ গ্রামীণ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জেকে নগর বাজারের নবনীত ক্লাব চত্বরে শুক্রবার ছিল বিজয়া সম্মিলনী। আসানসোল দক্ষিণ গ্রামীণ ব্লক সভাপতি দেবনারায়ণ দাসের নেতৃত্বে এই অনুষ্ঠান হয়। মূলত এলাকার ৬টি গ্রামপঞ্চায়েতের এই বিজয়া সম্মিলনীতে চারজন প্রধান, রানিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু কর্মী ও নেতাদের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
দলীয় কর্মীদেরই একাংশের দাবি, দলের পুরনো কর্মীদের না নিয়ে অনেকে আলাদাভাবে চলতে গিয়ে দলের অন্দরেই বিভেদ তৈরি করে ফেলছেন। এমনও দাবি করেছেন কেউ কেউ, পুরনো কর্মীদের বাদ দিয়ে দল চলছে। এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, জেলার তৃণমূল চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমানের সভাধিপতি সুভদ্রা বাউরি, পূর্ব বর্ধমান সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু, রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়, রাজ্য কমিটির সদস্য ভি শিবদাসন ছিলেন।
রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের কাছে দলের নেতৃত্বের অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “দলের সব কর্মী উপস্থিত থাকলে ভাল হতো। আমরা এ বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব। দল কারও একার নয়, দল সবার। তাই সব কিছু দেখা উচিৎ।” কী কারণে এমনটা হয়েছে তার খোঁজ নেবেন বলেও জানান তিনি। যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের আসানসোল দক্ষিণ গ্রামীণ তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সঞ্জিত মুখোপাধ্যায় জানান, বহু পুরনো তৃণমূল নেতাকে না ডাকার জন্য তারা এই কর্মসূচি বয়কট করেছেন। যদিও এই অনুষ্ঠানের যাঁরা আয়োজন করেছিলেন তাঁদের কারও বক্তব্য মেলেনি। পেলে তা যুক্ত করা হবে প্রতিবেদনে।