Jitendra Tiwari: ইসিএলে কর্মরত তৃণমূল কর্মীদের মধ্যপ্রদেশে ট্রান্সফার করে দেওয়ার হুমকি বিজেপি নেতার গলায়

Asansol: বিজেপি নেতা বলেন, ''বিজেপি কর্মীদের চমকালে ধমকালে তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে যাঁরা ইসিএলে কর্মরত রয়েছেন তাদের মধ্যপ্রদেশে ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে।'

Jitendra Tiwari: ইসিএলে কর্মরত তৃণমূল কর্মীদের মধ্যপ্রদেশে ট্রান্সফার করে দেওয়ার হুমকি বিজেপি নেতার গলায়
জিতেন্দ্র তিওয়ারি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 23, 2022 | 11:32 AM

আসানসোল: বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য জিতেন্দ্র তিওয়ারির। ইসিএলে (ECL) কর্মরত তৃণমূল কর্মীদের মধ্যপ্রদেশে ট্রান্সফার করে দেওয়ার হুমকি বিজেপি এই নেতার গলায় শোনা গেল। বললেন, ‘বিজেপি কর্মীদের চমকালে ধমকালে তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে যাঁরা ইসিএলে কর্মরত রয়েছেন তাদের মধ্যপ্রদেশে ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে।’

ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে বিতর্ক ছড়িয়েছে। শনিবার বিজেপির বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানটি জামুরিয়া দু নম্বর ব্লকের চিচুড়িয়া অঞ্চলের সিদ্ধপুর বাগডিহা গ্রামে আয়োজিত হয়। সেখান থেকেই এহেন মন্তব্য করতে শোনা যায় জিতেন্দ্রকে।

কেন এমন হুঁশিয়ারি দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি ?

জিতেন্দ্র তেওয়ারির অভিযোগ, জামুরিয়ার ওই বিজেপির অনুষ্ঠান যাতে না করা যায় তার জন্য আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছে তৃণমূল নেতাদের একাংশ। তারা তৃণমূল কর্মী ও কোলিয়ারী তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। রীতিমত বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, ওই অনুষ্ঠানে যেন প্যান্ডেল তৈরি না করা যায় তার জন্যও ডেকোরেটার্সদেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

মূলত, তৃণমূলের এই সকল কর্মীদের উদ্দেশেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলে দাবি করেন জিতেন্দ্র। বিজেপি নেতার দাবি রাজ্য পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই তৃণমূল নেতাদের মাতব্বরি বেশিদিন চলবে না। তাঁদের মনে রাখা উচিত ইসিএল রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা। ওই সংস্থা কেন্দ্র দ্বারা পরিচালিত। কাজ না করে গুণ্ডাগিরি করে বেড়ালে তাঁরা চুপ করে বসে থাকবেন না।

এ দিন জিতেন্দ্র বলেন, ‘আমাদের হাতেও ক্ষমতা আছে। সে কথাটাই স্মরণ করে দিয়েছি মাত্র।’ জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, ‘এলাকাটি পঞ্চায়েত এলাকা। তৃণমূল এখন থেকেই সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে।’ যদিও, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন বলেন, ‘কয়েকদিন আগে থেকেই দেখছি জিতেন বিভিন্ন বিধানসভায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এক বছর লোকসভা। হয়ত বিজেপির কাছে লোকসভার টিকিট পেতে চাইছে। তাই ওসব কথা বলে বাজার গরম করতে চাইছে। এসব কথার কোনও গুরুত্ব নেই।’