Asansol News: দিতে এসেছিলেন ইস্তফা, মিষ্টি খেয়ে বাড়ি চলে গেলেন তৃণমূল নেতা

Asansol: এদিন আসানসোলের আড্ডা বা আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্যদের অফিসে এসে তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন সুজিত মুখোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ও ব্লকের নেতা। পরে তিনি বলেন, "আমাকে ব্লক সভাপতি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাকে তা জানানো হয়নি। ২০০৮ সাল থেকে আমি দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের সভাপতি পদে আছি।"

Asansol News: দিতে এসেছিলেন ইস্তফা, মিষ্টি খেয়ে বাড়ি চলে গেলেন তৃণমূল নেতা
দিতে এসেছিলেন ইস্তফা, মিষ্টি খেয়ে বাড়ি চলে গেলেন তৃণমূল নেতাImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2024 | 11:39 AM

আসানসোল: ব্লক সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই আভিমানে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন সুজিত মুখোপাধ্যায়। কিন্তু কোথায় কী! জেলা শাসকের কাছে পৌঁছনোর আগেই বদলে গেল ছবিটা। সুজিত ও তাঁর অনুগামীদের নিজের অফিসে ডাকলেন রানিগঞ্জের বিধায়ক তথা আড্ডার চেয়ারম্যান তাপস বন্দোপাধ্যায়। কেক মিষ্টি খাওয়ালেন তিনি। অভিমান ভাঙালেন তৃণমূল নেতার।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর মহকুমার পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার দূর্গাপুর ফরিদপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সুজিত মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের এই সিদ্ধান্তে সুজিত মুখোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেসের ওই ব্লকের একটি শিবির বেজায় চটেছেন। আসানসোলে সুজিত মুখোপাধ্যায় এক সাক্ষাৎকারে হুমকি দিয়ে বলেন,”কী কারণে আমাকে সরানো হয়েছে, তা জানাতে হবে। না হলে, আমি পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ থেকে ইস্তফা দেব।” তবে তাঁকে এই সিদ্ধান্ত না নেওয়া থেকে কোনও মতে বিরত করেন দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা রানিগঞ্জের বিধায়ক তথা আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার তাপস বন্দোপাধ্যায়। তাপসবাবু তাঁকে দলের পুরনো দিনের কর্মী হিসাবে কাজ করে যাওয়ার অনুরোধ করেন। এমনকী দলের উচ্চ-নেতৃত্বর সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি। আজ যখন ইস্তফা দিতে যাচ্ছিলেন সুজিত সেই সময় তাঁকে অফিসে ডেকে কেক-মিষ্টি খাওয়ান বিধায়ক। হাসিমুখে ‘মিষ্টি-মিষ্টি’ কথাও বলেন। তাঁকে ইস্তফা দেওয়া থেকে বিরত রাখেন।

এদিন আসানসোলের আড্ডা বা আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্যদের অফিসে এসে তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন সুজিত মুখোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ও ব্লকের নেতা। পরে তিনি বলেন, “আমাকে ব্লক সভাপতি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাকে তা জানানো হয়নি। ২০০৮ সাল থেকে আমি দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের সভাপতি পদে আছি। এমনকী একবারও জেলা নেতৃত্ব আমার সঙ্গে আগে এই ব্যাপারে আলোচনা পর্যন্ত করেনি। আমি অনেক দিন ধরে ওই এলাকায় তৃণমূলের হয়ে কাজ করছি। সেই কারণেই আমি বলেছিলাম যে যখন আমি ব্লক সভাপতি পদে নেই। তখন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের পদে থাকাটা আমার পক্ষে উপযুক্ত নয়। সেই কারণেই আমি পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাই।”

অন্যদিকে, দলের ব্লক সভাপতিকে বদল করার প্রতিবাদে একযোগে ১৩ জন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন জেলা সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কাছে। দীর্ঘদিনের পুরোনো ব্লক সভাপতিকে সরানো যাবে না, বলে সরব হয়েছেন এই ১৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য। একই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের এক অঞ্চল সভাপতি ও এক বুথ সভাপতিও পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবাদের কোনও সদুত্তর না পাওয়া গেলে বড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিদ্রোহী পঞ্চায়েত সদস্যরা।

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ব্লক সভাপতিকে বদলে করা হয়েছে। তাতে দুর্গাপুর- ফরিদপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়ের বদলে শতদীপ ঘটককে ব্লক সভাপতি করা হয়েছে।