বাঁকুড়ার শিশু পাচারকাণ্ডে ক্রমেই জোরাল হচ্ছে নিষিদ্ধ পল্লি যোগ! ধরা পড়েছে এক দালাল, মুখ খুলল দুর্বার সমিতি
Bankura: পুরুলিয়া রোডে ২৭ একর জমির উপর রয়েছে জওহর নবোদয় বিদ্যালয়। এটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ।
দুর্গাপুর: বাঁকুড়ার শিশু পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে। চাঞ্চল্যকর নিত্য নতুন মোড়। এবার এই ঘটনায় পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর কাদা রোডে নিষিদ্ধ পল্লি থেকে গ্রেফতার করা হল দু’জনকে। এর আগে মঙ্গলবার নিষিদ্ধ পল্লির এক দালালকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযোগ, গত রবিবার বাঁকুড়ার কালাপাথর এলাকায় একটি লাল রঙের মারুতি ভ্যান থেকে দুই শিশু কন্যাকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। সেই সময় ভ্যানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন কেন্দ্র সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত স্থানীয় জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমলকুমার রাজোরিয়া। এরপরই তদন্তে পুলিশ জানতে পারে এই অধ্যক্ষ শিশু পাচারের চেষ্টা করছিলেন। তিনি একা নন, এই অভিযোগে আরও ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সকলেই অধ্যক্ষের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর মোট পাঁচটি শিশু উদ্ধারও হয়।
Murky stories of @BJP4Bengal doesn’t seem to end!
Principal of Jawahar Navodaya Vidyalaya, Bankura has been accused in a child trafficking case. Alarming connection with BJP MP @Drsubhassarkar! Does BJP give shelter to such known criminals?!
See it to believe it ?? pic.twitter.com/72vFRye53F
— Dr. Shashi Panja (@DrShashiPanja) July 18, 2021
ধৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন দুর্গাপুরের কাদা রোড এলাকার বাসিন্দাও রয়েছেন। সেখান থেকেই প্রথম সন্দেহ হয় বাঁকুড়া পুলিশের। এই ঘটনায় নিষিদ্ধ পল্লি যোগ থাকার একটা সম্ভাবনা দেখে তারা। এই ঘটনায় ধৃত স্বপন দত্ত নামে এক ব্যক্তি দুর্গাপুরের কাদা রোডের চা দোকানের মালিকও রয়েছেন। একই সঙ্গে সুনীতা বাদ্যকর, রিয়া বাদ্যকর, দেব বাদ্যকর নামের আরও তিনজন এই নিষিদ্ধ পল্লি চত্বরেই থাকেন। এরপরই তাঁদের জেরা করতে শুরু করে পুলিশ। একদিকে অধ্যক্ষকে জেরায় যেমন একাধিক তথ্য উঠে আসে। একই ভাবে বাকিদের কাছ থেকেও নতুন নতুন তথ্য পায় তদন্তকারীরা। সুভাষ গুপ্তা নামে নিষিদ্ধপল্লির এক দালালকেও পাকড়াও করে পুলিশ।
এরপরই কাদা রোডের ওই নিষিদ্ধ পল্লির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও দুর্গাপুর দুর্বার সমিতির সদস্য আশা বসুর কথায়, “এই পল্লির কোনও কর্মী বাড়ি যাচ্ছেন নাকি অন্য কোথাও যাচ্ছেন তা দেখা তো আমাদের কাজ নয়। আমার এলাকায় যদি কিছু করে তার দায়িত্ব আমার। এর বাইরে গিয়ে আমি কিছু বলতে পারি না।”
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষাসেল বাঁকুড়ার জেলাশাসক ও জেলা স্কুল দফতরে স্মারকলিপি দেয়। এই শিক্ষকদের দাবি, এই পাচারকাণ্ডের যথাযথ তদন্ত হোক। স্কুলের অধ্যক্ষকে ভোটের আগে বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের সঙ্গে দেখা গিয়েছে। বিজেপির অনুষ্ঠানমঞ্চে দু’জন একসঙ্গে ছিলেন বলে তাঁদের অভিযোগ। ওই শিক্ষকদের দাবি, সাংসদকেও গ্রেফতার করা হোক। আরও পড়ুন: কমিশনের রিপোর্টে একাধিক ‘বিরোধিতা’, হলফনামা আকারে হাইকোর্টকে জানাবে রাজ্য