Agnimitra Paul: আসানসোলের জল ও নিকাশি সমস্যা মেটাতে হবে এক মাসের মধ্যে, চরম সীমা বেঁধে দিলেন অগ্নিমিত্রা
Asansol : বিধায়কের অভিযোগ, "জায়গায় জায়গায় মানুষ জল পাচ্ছে না। প্রতিদিন জল দেওয়া হয় না, একদিন অন্তর অন্তর জল আসছে। রাত ১টা - ২ টো নাগাদ জল দিচ্ছে। কোন জায়গায় শুনেছেন, রাত ২ টোর সময় জল আসে?"
আসানসোল : তিন মাস কেটে গিয়েছে, অথচ এখনও গঠন হয়নি পুরবোর্ড। এর ফলে পুরপরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আসানসোলের মানুষ। বিশেষ করে পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে। পানীয় জলের দাবিতে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বসে পড়েন আসানসোল পুরনিগমের সামনে। শুরু হয় অবস্থান-বিক্ষোভ। অভিযোগ দুই জন ডেপুটি মেয়র ঘোষণার পর আইনি জটিলতায় আটকে আছে পুরবোর্ড। এই ঘটনার জন্য দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস। নিজেদের অন্তর্কলহ মেটাতে পুরবোর্ড নিয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে তারা।
শুধু পানীয় জল সংকট নয়, রয়েছে নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যা। কয়েকদিন পরেই বর্ষা। আশঙ্কা, তখন এলাকায় নিকাশি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই যতক্ষণ না পুরনিগমের মেয়র বা ডেপুটি মেয়র বা পুর আধিকারিকরা কেউ ডেপুটেশন গ্রহণ করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত অবস্থান চলতেই থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন অগ্নিমিত্রা পল। বিধায়কের অভিযোগ, “জায়গায় জায়গায় মানুষ জল পাচ্ছে না। প্রতিদিন জল দেওয়া হয় না, একদিন অন্তর অন্তর জল আসছে। রাত ১টা – ২ টো নাগাদ জল দিচ্ছে। কোন জায়গায় শুনেছেন, রাত ২ টোর সময় জল আসে? যদি দেখা যায়, সারাদিন জল আসছে, রাত ২ টোর সময়েও জল আসছে, তা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু সারাদিন জল না দিয়ে রাত ২ টোর সময় জল দিচ্ছে।”বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য, এলাকার বয়স্ক মানুষরা আমাদের ফোন করে বলছে, দিদি আমরা তো মরে যাব। সারারাত তাঁদের জেগে বসে থাকতে হচ্ছে।”
অবস্থান বিক্ষোভের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর ডেপুটি মেয়রের সঙ্গে দেখা করেন অগ্নিমিত্রা পল। বিধায়ক জানিয়েছে, “ডেপুটি মেয়র কথা দিয়েছেন ১৫ দিন থেকে ১ মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে। ২৮ তারিখ (জুন)-এর মধ্যে যদি সমস্যার সমাধান না হয়, যদি জল ও নিকাশির সমস্যা না মেটে, তাহলে আমরা আবার বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামব।”
এদিকে ডেপুটি মেয়রের ঘর থেকে বেরনোর সময় অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান অগ্নিমিত্রা পল। সেই সময় তাঁর ঘরে ঢোকার সময় একপ্রস্থ ধস্তাধস্তি হয় বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে। বিজেপির মহিলা কর্মীদের গায়ে হাত তোলারও অভিযোগ ওঠে। এই বিষয়ে অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “কোথাও জলের সমস্যা নেই। সব জায়গায় পানীয় জলের ব্যবস্থা রয়েছে। যে সব জায়গায় সমস্যা ছিল, সেখানে আমরা ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে জল দিচ্ছি।”