Pradhan Mantri Awas Yojana: টাকার দাবিদার কোন হারাধন? জীবিত না মৃত? অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতেই বিভ্রান্তি চরমে

TV9 Bangla Digital

TV9 Bangla Digital | Edited By: tannistha bhandari

Updated on: Jul 02, 2022 | 8:34 AM

Pradhan Mantri Awas Yojana: কার টাকা, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। আপাতত টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। বিভ্রান্তি না কাটলে দেওয়া হবে না টাকা।

Pradhan Mantri Awas Yojana: টাকার দাবিদার কোন হারাধন? জীবিত না মৃত? অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতেই বিভ্রান্তি চরমে
দুই ব্যক্তির একই নাম

কাটোয়া : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা ঢুকেছে হারাধন দাসের অ্যাকাউন্টে। সেই টাকায় পাকা বাড়ি হবে বলে ব্যাঙ্কেও গিয়েছেন তাঁরা। টাকা পাওয়ার প্রক্রিয়াও প্রায় সম্পূর্ণ। আচমকা হাজির হলেন আর আরও একজন। টাকার দাবিদার নাকি আসলে অন্য হারাধন দাস! তিনি বেঁচে না থাকলেও তাঁর ছেলে এসে টাকার দাবি জানিয়েছেন। আর এই নাম বিভ্রান্তিতেই আটকে গিয়েছে পুরো টাকাটাই। বিভ্রান্তি না কাটলে আপাতত কোনও পরিবারকেই টাকা দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাটোয়া মহকুমার মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া ২ নম্বর ব্লকের সিঙ্গত গ্রামের ঘটনা।

টাকার আসল দাবিদার কে, তা খুঁজতে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত। দুই ব্যক্তির একই নাম হওয়ায় ভুলবশত এই টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে সাফাই পঞ্চায়েত প্রধানের।

জানা গিয়েছে, সিঙ্গত গ্রামের দাসপাড়ায় হারাধন দাস নামে দুই ব্যক্তি রয়েছেন। এর মধ্যে এক জন মৃত। দুই হারাধনের নামই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে। অর্থাৎ দুজনেরই টাকা পাওয়ার কথা। গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ হারাধনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিন কয়েক আগে প্রকল্পের ঘর তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ঢোকে। তাঁর পরিবার প্রমাণপত্র- সহ ব্যাঙ্কে গেলে জানানো হয়, তাঁরাই এই টাকার প্রাপক। অন্যদিকে খবর পেয়ে হাজি হয় মৃত হারাধন দাসের পরিবার। তাঁরা পঞ্চায়েতে টাকার খোঁজ নিতেই তাঁদের জানানো হয়, তাঁদের ঘর তৈরির টাকা ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়ে গিয়েছে। শুরু হয় সঠিক দাবিবার নিয়ে বিভ্রান্তি।

এই খবরটিও পড়ুন

মৃত হারাধন দাসের ছেলে কার্তিক দাস ও দীনু দাস বৃদ্ধ হারাধনের কাছে টাকা ফেরত চাইতে থাকেন। বিষয়টি গড়ায় পঞ্চায়েত পর্যন্ত। ফাইল পত্র ঘেঁটে পঞ্চায়েত জানায়, ঘর পাওয়ার তালিকায় দুই ব্যক্তির নাম এবং বাসস্থান একই। তাই ভুল করে প্রকল্পের টাকা ঢুকেছে অন্য হারাধনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তড়িঘড়ি পঞ্চায়েত সেই টাকা ব্যাঙ্কের তরফে ব্লক করে দেওয়ার অনুরোধ করে। যাতে মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত টাকা না তোলা যায়।

জীবিত হারাধনের ছেলে পরেশ দাসের দাবী, তাঁদের মাটির ঘর আছে। এই প্রকল্পে পাকা ঘর পাওয়ার জন্য ৬ মাস আগে ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে তারা। তালিকায় বাবার নাম ওঠে। কিছুদিন আগেই আসে সেই প্রথম কিস্তির টাকা। তাঁদের দাবি, ঘর তৈরির জন্য এই টাকার দাবিদার তাঁর বাবা। টাকা তাঁদেরই প্রাপ্য।

অন্যদিকে দীনু ও কার্তিক দাসের দাবি, তাঁদের বাবা বেঁচে থাকাকালীন প্রকল্পের ঘর পাওয়ার তালিকায় বাবার নাম ওঠে। সেই টাকা ভুলবশত অন্য হারাধন দাসের নামে এসেছে। বর্তমানে তাঁদের পাকা বাড়ি থাকলেও আগে ছিল না বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।

পঞ্চায়েতে এই প্রকল্পে নাম তালিকা ভুক্ত করার দায়িত্বে যিনি রয়েছেন, সেই নাজমুল হোদা বলেন, দুই ব্যক্তির একই নাম হওয়ায়, ভুল করে এই টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান রানি দাস জানান, কী ভাবে অন্য অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢুকল জানা নেই। বিডিও কে বলে টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। পাকা বাড়ি থাকলে কি মৃত হারাধন দাসের ছেলেরা এই প্রকল্পের টাকা পেতে পারে? এই প্রশ্নে প্রধানের জবাব, দুই ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই মাটির বাড়িতে থাকেন, সেই পাবে এই টাকা পাবেন।

Latest News Updates

Follow us on

Related Stories

Most Read Stories

Click on your DTH Provider to Add TV9 Bangla