Durgapur Land Problem: খাসজমি দখল করে দোকানঘর বানানোর অভিযোগ, কাঠগড়ায় শাসকদলের নেতা
Durgapur Land Problem: ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কুরুরিয়া ডাঙার মিলনপল্লি এলাকার স্থানীয়দের দাবি, সরকারি খাস জমিতে এই কাজ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ইতিমধ্যেই স্থানীয়রা দুর্গাপুর নগর নিগম ও মহকুমা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
দুর্গাপুর: সরকারি জমি দখল করে বিক্রির জন্য একাধিক দোকান তৈরি করার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। কাজ বন্ধ করার দাবি স্থানীয়দের। সরকারি খাস জমি দখল করে একাধিক দোকানঘর বানিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে শোরগোল দুর্গাপুরে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দেবাশিস আচার্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দুর্গাপুরের প্রাক্তন মহানাগরিক দিলীপ অগস্তি ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।
১১ নম্বর ওয়ার্ডের কুরুরিয়া ডাঙার মিলনপল্লি এলাকার স্থানীয়দের দাবি, সরকারি খাস জমিতে এই কাজ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ইতিমধ্যেই স্থানীয়রা দুর্গাপুর নগর নিগম ও মহকুমা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। শহরের প্রাক্তন মেয়র দিলীপ অগস্তির ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মিলনপল্লি এলাকায় তৃণমূলের একটি কার্যালয় রয়েছে।
দুর্গাপুরের দুই নম্বর ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি দেবাশিস আচার্য এই এলাকার নেতা। তাঁর দলীয় কার্যালয়ের পাশেই সরকারি খাস জমিতে দোকানঘর তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই দোকানগুলির ছাদ ঢালাইয়ের কাজও চলছে। অভিযোগ, সরকারি খাস জমিতে দোকান ঘর তৈরি করে তা বণ্টন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ঘটনাকে ঘিরে সরব বিরোধীরা। জেলা বিজেপি নেতৃত্ব কড়া সমালোচনা করেছেন এই ঘটনার। কড়া সুর জেলা সিপিআইএম নেতৃত্বের গলাতেও। বিজেপি নেতার বক্তব্য, “খাসজমিতে স্টল তৈরি করে বিক্রি করছে শাসকদলের নেতা। দলটাই তোলাবাজিতে ভরে গিয়েছে। এগুলো ভাবা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করলে পদের ভয় দেখান। এভাবে চলতে পারে।”
দুর্গাপুরের দুই নম্বর ব্লকের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি দেবাশিস আচার্য জানিয়েছেন, বহু বছর আগে রাস্তার জন্য জমিটি দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় একটি ক্লাব জমিটি রক্ষণাবেক্ষণ করে মাটি দিয়ে ভরাট করে। যেহুতু তিনি এই ক্লাবের একজন পদাধিকারী তাই দায়িত্ব নিয়ে নিজে কিছু টাকা বিনিয়োগ করে স্থানীয় বেকারদের স্বার্থে এই কাজ করছেন। আর এই কাজে যারা অন্যায় খুঁজে পাচ্ছেন সেটা রাজনৈতিক চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়।