AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ম্যান মেড’ বন্যা পরিস্থিতিতেই প্রায় ৬০হাজার কিউসেক জল ছাড়ল দুর্গাপুর ব্যারেজ

Durgapur Barrage: দুর্গাপুর ব্যারেজে কোনও রিজার্ভার নেই। ফলে, ডিভিসি থেকে যে জল আসে তা ছাড়তে বাধ্য থাকে দুর্গাপুর ব্যারেজ। এদিকে ২০০৭ সাল থেকে নাব্যতা কমে যাওয়ার দরুণ প্রয়োজনের তুলনায় কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ হাজার কিউসেক জল বেশি ছাড়তে হয় এই ব্য়ারেজ থাকে।

'ম্যান মেড' বন্যা পরিস্থিতিতেই প্রায় ৬০হাজার কিউসেক জল ছাড়ল দুর্গাপুর ব্যারেজ
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2021 | 8:16 PM
Share

দুর্গাপুর: নিম্নচাপের দৌলতে বানভাসি বঙ্গ। জলযন্ত্রণায়  ভুগছে শহর থেকে গ্রাম। দুদিন আগেই, দুর্গাপুর ব্যারেজ (Durgapore Barraage) থেকে ৭২ হাজার ২২৫ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বুধবার ফের দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে প্রায় ৬০ হাজার ৮৭৫ কিউসেক জল ছাড়া হল। শুধু দুর্গাপুর ব্যারেজ নয়, মাইথন ও পাঞ্চেত্‍ জলাধার থেকে ডিভিসি মিলিতভাবে ৫৫হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ইতিমধ্যেই।

বুধবার রাজ্যের সেচ দফতরের পক্ষ থেকে ডিভিসিকে একটি চিঠি দিয়ে আগামী ৩-৪ দিন জল ছাড়া বন্ধ রাখার আবেদন করা হয়েছে। এরমধ্য়েই দুর্গাপুর ব্যারেজ (Durgapore Barraage) থেকে জল ছাড়ার ঘটনায় জোরদার হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ডিভিসি ইস্যুতে সরকারিভাবে খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চারপাতা সেই চিঠির প্রথম লাইনেই মুখ্য়মন্ত্রী লিখেছেন এই বন্যা ম্যান মেড। পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক সীমারেখা স্পষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ডিভিসির জল ছাড়ার জন্যই ডুবতে বসেছে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলা। মৃত্য়ু হয়েছে ১৬ জনের। নষ্ট হয়েছে বহু চাষের জমি। ২০১৫ সালে একাধিকবার ডিভিসি-র সংস্কারের দাবি জানানো হলেও তা এখনও অধরা থেকেছে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করার আর্জি জানিয়েছেন মমতা।

পাল্টা ডিভিসির পক্ষ থেকে  জানানো হয়েছে  রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে একটুও জল ছাড়ছে না তারা। জল ছাড়ার পুরো বিষয়টিই রাজ্যের গোচরে রয়েছে। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের সাফ দাবি, কেন্দ্র-রাজ্য নজরদারিতেই জল ছাড়ার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু পলি পড়ে যেভাবে নদীগুলির নব্যতা কমেছে, তাতে কোনও ভাবেই জলাধারগুলি জল ধরে রাখতে পারছে না। তাই অতিরিক্ত জল ছাড়তেই হচ্ছে।

অন্যদিকে, দুর্গাপুর ব্যারেজে কোনও রিজার্ভার নেই। ফলে, ডিভিসি থেকে যে জল আসে তা ছাড়তে বাধ্য থাকে দুর্গাপুর ব্যারেজ। এদিকে ২০০৭ সাল থেকে নাব্যতা কমে যাওয়ার দরুণ প্রয়োজনের তুলনায় কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ হাজার কিউসেক জল বেশি ছাড়তে হয় এই ব্য়ারেজ থাকে। উপরি রয়েছে বৃষ্টি। এ হেন সঙ্গীন পরিস্থিতির জেরে বন্যা দেখা গিয়েছে জেলাগুলিতে। আসানসোলে টানা বৃষ্টিরে জেরে বেশ কিছু জায়াগায় ভেঙে পড়েছে বাড়িঘর। সেখানেরই র‌্যাকেট অ্যান্ড কোলম্যান এলাকায় দেওয়াল চাপা পড়ে পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উদয়নারায়ণপুরের ১১ টি এলাকাই জলের তলায়। সেখানে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যেতে চেয়েও যেতে পারেননি খোদ মুখ্যমন্ত্রী। আরও পড়ুন: পরিত্যক্ত বাড়িতে বিজেপি বুথ সভাপতির হাত-পা বাঁধা ঝুলন্ত দেহ! নিশানায় তৃণমূল