ECL: লক্ষ্যপূরণ ও লাভ করতে এবার ৩টি ভূগর্ভস্থ খনি চালু করবে ইসিএল

ECL: দশ মাস কেটে গেলেও নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ধারেপাশে পৌঁছতে পারেনি ইসিএল। তবে এবার লক্ষ্যপূরণ ও লাভ দুই হবে ইসিএলের এমনটাই দাবি ডাইরেক্টর পার্সেনালের।

ECL: লক্ষ্যপূরণ ও লাভ করতে এবার ৩টি ভূগর্ভস্থ খনি চালু করবে ইসিএল
খোলামুখ কয়লা খনিতে ধস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2023 | 3:01 PM

আসানসোল:

বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা তিনটি ভূগর্ভস্থ খনি চালু করবে ইসিএল। তিনটি বন্ধ খনির উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য বেসরকারি ঠিকাসংস্থা নিয়োগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গোপীনাথপুর, মধুজোড় ও চিনাকুড়ি এই তিনটি ভূর্গভস্থ খনি থেকে দ্রুত কয়লা উত্তোলন শুরু হবে। ইসিএলের ডিরেক্টর পার্সোনাল অনিতা সহায় সাংবাদিক বৈঠক করে এই তথ্য জানান। এছাড়াও রাজমহলের জমিজট কেটে যাওয়ায় আরও একটি নতুন খনি বা প্যাচ চালু হবে শীঘ্রই। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে সংস্থার শ্রমিক কর্মীদের উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান ইসিএল কর্তৃপক্ষ। তবে দশ মাস কেটে গেলেও নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ধারেপাশে পৌঁছতে পারেনি ইসিএল। তবে এবার লক্ষ্যপূরণ এবং লাভ দুই হবে ইসিএলের এমনটাই দাবি ডিরেক্টর পার্সেনালের।

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে সংস্থার প্রায় ১১০০ কোটি টাকা লাভ হয়েছে। এই লাভ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও কর্তৃপক্ষের মূল চিন্তা বার্ষিক লক্ষপূরণের বিষয়ে। চলতি অর্থবর্ষে কয়লার চাহিদা থাকায় ই-অকশানে নিলাম করে লাভের অঙ্ক বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।

কিন্তু এই বছর উত্তলনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪.৫ কোটি টন। যা এখনও পর্যন্ত মাত্র ২.৩৮ কোটি টন উত্তোলন করা হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ কম। আর মাত্র আড়াই মাস বাকি। এরমধ্যে বাকি ৫০ শতাংশ কয়লা উত্তোলন কি আদৌ সম্ভব? প্রশ্নের উত্তরে ইসিএলর ডিরেক্টর (পার্সোনেল) অনিতা সহায় বলেন, “অবশ্যই সম্ভব। এরজন্য কিছু নীতিগত ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। লক্ষ্যপূরণ নিয়ে আশাবাদী।” এক্ষেত্রে প্রশ্ন হল গত সাড়ে ৯ মাসে কয়লা উত্তোলনের এমন হাল হওয়ার কারণ কী?

কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমত বর্ষা। দ্বিতীয়ত, নানা এলাকায় বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ বিক্ষোভের জেরে সংস্থার স্বাভাবিক কয়লা উত্তোলনের পরিমাণ মার খেয়েছে। তবে সেপ্টেম্বর মাস থেকে ইসিএল ছন্দে ফিরেছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

তবে এই লক্ষ্যপূরণের বিষয়ে ইসিএলের একাংশ আধিকারিকই সন্দেহ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, লক্ষ্যমাত্রার প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ উত্তোলন করতেই সময় লাগল প্রায় সাড়ে ন’মাস। বাকি ৫০ শতাংশ মাত্র আড়াই মাসে কোন জাদুবলে পূরণ হবে সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। তাঁদের আশঙ্কা, লক্ষ্যপূরণ না হলে আনুপাতিক হারে আর্থিক লাভও কমে আসবে।

কর্তৃপক্ষ জানান, ইতিমধ্যেই শোনপুর বাজারি ও কুনুস্তরিয়া এরিয়ার খনিগুলিতে উন্নততর প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে।