Saigal Hossain: তিহার জেলে বন্দি সায়গল, প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট চেয়ে আবেদন আদালতে

Cattle Smuggling Case: গত ২১ অক্টোবর দিল্লি আদালতের নির্দেশে আসানসোল জেল থেকে সায়গল হোসেনকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির অফিসাররা ট্রেনে দিল্লি নিয়ে যান।

Saigal Hossain: তিহার জেলে বন্দি সায়গল, প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট চেয়ে আবেদন আদালতে
সায়গল হোসেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 06, 2022 | 7:10 AM

আসানসোল: গরুপাচার মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন আপাতত বন্দি রয়েছেন দিল্লির তিহার জেলে। ইতিমধ্যে আসানসোলের সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের আবেদন করা হয়েছে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী আগামী ১১ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

গত ২১ অক্টোবর দিল্লি আদালতের নির্দেশে আসানসোল জেল থেকে সায়গল হোসেনকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির অফিসাররা ট্রেনে দিল্লি নিয়ে যান। গরু পাচার মামলায় তদন্তের জন্য জেরা করতে চেয়ে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ মতো তাঁকে দু’দফায় নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তারপর শুক্রবার অর্থাৎ ৪ নভেম্বর তাঁকে জেরার পরে আদালতে তোলা হলে, বিচারক তাঁকে তিহার জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বস্তুত, আগেই গরু পাচার মামলায় আসানসোলে সিবিআয়ের বিশেষ আদালত ৫ নভেম্বর (শনিবার) তাঁকে হাজিরার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল।

সায়গলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা বলেন, ‘শনিবার আসানসোলে সিবিআইয়ের আদালতে তাঁর জন্য আমরা প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট-র আবেদন করেছিলাম। যাতে তাঁকে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজির করানো হয়। কিন্তু বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানিয়েছেন এই মুহূর্তে সায়গল হোসেন ঠিক কোথায় আছে বা তিহার জেলে আছে কি না, তা জানা নেই। দিল্লির আদালতের নির্দেশ তা কিন্তু আদালতের যে নিজস্ব পোর্টাল আছে ( সিএস) সেখানে এখনও ওঠেনি। ফলে তার বর্তমান অবস্থান ঠিক কী, সেটা জানা যাচ্ছে না। সেই জন্যেই আগামী ১১ নভেম্বর এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।’ আইনজীবী আরও বলেন, ‘ওইদিন আবারো এই একই আবেদন জানাবো আদালতের কাছে।’

সূত্রের খবর, শনিবার সিবিআইয়ের চার আধিকারিক একাধিক ব্যাগ-নথি সহ আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আসেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়গল ইডির দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদে যে সব উত্তর দিয়েছেন তাতে আরও বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছে। বিশেষ করে শাসকদলের একাধিক নেতার নাম নতুন করে উঠে এসেছে। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এইসব কিছুর নথি এদিন সিবিআই আদালতে জমা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত জুন মাসে সায়গলকে গরু পাচার মামলায় সায়গলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপর থেকে তিনি আসানসোল জেলেই ছিলেন। রাজ্য পুলিশের একজন সাধারণ কনস্টেবল সায়গল হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে কোটি-কোটি টাকার সম্পত্তি করার অভিযোগ উঠেছিল। এই টাকার উৎস সন্ধান ও অনুব্রত মণ্ডল সহ অন্যান্যদের সঙ্গে গরু পাচারে তাঁর ভূমিকা ঠিক কী ছিল তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে ইডি। অপরদিকে সিবিআই-এর দাবি, সায়গল ফোন থেকে অনুব্রত মণ্ডল-এনামুল সহ অনেকের সঙ্গেই গরু পাচারের বিষয় নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। সেজন্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে আসানসোল থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়।