Landslide: কুয়োর ধারে স্নান করছিল ছোট্ট ছেলে, ডাক শুনে ফিরতেই মা দেখেন সর্বনেশে দৃশ্য…
Paschim Burdwan: স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রচণ্ড গরমে কুয়োর জল শুকিয়ে গিয়েছিল। এদিকে প্রায় চার পাঁচশো মানুষের জলের ভরসা এই কুয়ো।
পশ্চিম বর্ধমান: ইসিএল জল ছেড়েছিল। সেই জলের চাপেই খনি এলাকায় ধসের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ মাটির ভিতর বসে যায় জলের কুয়ো। ভয়ে, আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন এলাকার লোকজন। অন্ডালের খান্দরায় সিঁদুলি এলাকার দিঘিরবাগান মাঝিপাড়ার এই ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রচণ্ড গরমে কুয়োর জল শুকিয়ে গিয়েছিল। এদিকে প্রায় চার পাঁচশো মানুষের জলের ভরসা এই কুয়ো। এরপরই ইসিএলে জানানো হলে তাদের তরফে কুয়োতে জল ভর্তি করা হয়। অভিযোগ, এরপরই বসে যায় তা। এই ঘটনার পর এলাকার পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নিয়েও ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। তাঁদের দাবি, প্রতি ভোটে তাঁদের কাছে হাত জোর করে লোকজন আসেন। ভোট চান, জিতে গেলে আর দেখা যায় না। সরকার ঘরে ঘরে পানীয় জল বললেও দিঘিরবাগানের মানুষ এখনও তা থেকে বঞ্চিত বলেই অভিযোগ। এমনকী এলাকার বাড়িগুলিতে জলের কোনও কলই নেই বলে জানান স্থানীয়রা।
শেখ হাসমত নামে এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “এই কুয়োর উপর আমরা নির্ভরশীল। এলাকার প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ জন মানুষ নিয়মিত এই কুয়োর জল ব্যবহার করেন। হঠাৎ এই ধসের কারণে সমস্যা বাড়ল।” স্থানীয় এক মহিলা জানান, তাঁদের জীবনের কোনও দাম প্রশাসনের কাছে নেই। শুধুমাত্র ভোটের জন্যই তাঁদের তোয়াজ করা হয়। তিনি জানান, তাঁর ছোট্ট ছেলে স্নান করছিল। সে সময়ই ধস নামে। বরাত জোরে ছেলেটি বেঁচে গিয়েছে।
ওই মহিলা বলেন, “আমার বাচ্চা স্নান করছিল। কুয়োর জলেই স্নান করছিল ও। হঠাৎ চিৎকার করছে, মা দেখো কেমন কুয়ো ঢুকে যাচ্ছে। আমি তো দেখে কেঁদে ফেলেছি। ছুটে এসে বাচ্চাটাকে টেনে নিই। আমাদের ঘরে কল নেই। এই কুয়োই আমাদের নিত্য কাজের জন্য ব্যবহার করতে হয়। সরকার বলছে সব জায়গায় ঘরে ঘরে জল দিচ্ছে। কোথায়? আমাদের এখানে তো কিছুই করেনি। কোনও সুবিধা পাই না আমরা। পঞ্চায়েত তো দেখতেও আসে না। আমরা ভোট দিই বলেই তো জেতে। অথচ এরপর আর দেখে না।”
খান্দরার গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান শ্যামলেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সংবাদমাধ্যম যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা যায়নি। ফোনেও পঞ্চায়েত প্রধানকে পাওয়া যায়নি। এমনকী প্রধানের বাড়িতে গিয়েও অনেক ডাকাডাকির পরও কোনও সাড়া মেলেনি।
আরও পড়ুন: TMC Internal Conflict: তৃণমূল বিধায়ক তো আসেন না, কার্যালয় রেখে লাভ কী? নাম মুছলেন দলের কর্মীরাই