Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভিড় ঠেকাতে ভ্যাকসিনের কুপন দিয়েছিল পঞ্চায়েত, জাল করে টিকা নিয়ে গেলেন ১০ জন

পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নকল কুপন (COVID-19 Vaccine) বিলি করা হচ্ছে। তিনি এর মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন।

ভিড় ঠেকাতে ভ্যাকসিনের কুপন দিয়েছিল পঞ্চায়েত, জাল করে টিকা নিয়ে গেলেন ১০ জন
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 04, 2021 | 8:43 PM

পশ্চিম বর্ধমান: করোনার (COVID-19) টিকা দেওয়ার জন্য গ্রামপঞ্চায়েত থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক কুপন বিলি করা হয়েছিল। সকলে তা পাননি। এরপরই কুপন নকল করে ভ্যাকসিনের লাইনে ভিড় বাড়ানোর অভিযোগ ওঠে। আসানসোল রানিগঞ্জের এগেরা গ্রামপঞ্চায়েতের এই ঘটনা ঘটে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান রিনা দাস এই ঘটনায় ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁকে অপদস্থ করার চেষ্টার অভিযোগ তুলে তিনজনের বিরুদ্ধে বল্লভপুর ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন।

এগেরা গ্রামপঞ্চায়েতে টিকাকরণ চলছে। বয়স, পেশা, শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে পর পর কুপন দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ২৩৫ জনকে টিকা দেওয়ার কথা ছিল। সেই মত পঞ্চায়েত অফিস থেকে কুপন বিলি করা হয়। তাঁদেরই নাম নথিভুক্ত করা হয় টিকাপ্রাপকের তালিকায়। কিন্তু এরই মধ্যে দেখা যায় ১০ জনের হাতে নকল কুপন। তাঁদের নাম রেজিস্ট্রেশন করা নেই। এদিকে ততক্ষণে টিকাও নিয়ে নিয়েছেন তাঁরা।

পঞ্চায়েত প্রধান রিনা দাসের দাবি, এক যুবক বাড়ি বাড়ি পৌঁছে জেরক্স করা কুপন দিয়ে এসেছে। তবে কে ওই যুবক তা এখনও জানা যায়নি। রিনা দাসের কথায়, “কুপন দিয়েছিলাম ২৩৫ জনকে। দেখছি সেখানে কিছু জালিয়াতি হয়েছে। জেরক্স করে নিয়ে ১০ জন কুপন জমা করেছে। তিনজন ধরাও পড়েছে। এরকম করলে তো মুশকিল। ভ্যাকসিন সীমিত। সে ভাবেই কুপন দিয়েছি।”

আরও পড়ুন: সাইবার জালিয়াতের খপ্পড় থেকে বাদ পড়ছে না পুলিশও, নিজের অভিজ্ঞতা শোনালেন বিষ্ণুপুরের ওসি

পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নকল কুপন বিলি করা হচ্ছে। তিনি এর মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন। ইচ্ছাকৃত প্রধানকে অপদস্থ করার জন্যই কেউ কেউ এসব করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, “আমাদের টিকা দেওয়ার তালিকায় প্রথমে নাম রয়েছে ব্যাঙ্ক কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, সুপার স্প্রেডারদের। তাঁরা ময়দানে নেমে কাজ করেন। কিন্তু সেখানে যদি এরকম ঘটনা ঘটে, তা হলে খুবই সমস্যা।” বিষয়টি ব্লক আধিকারিককে জানানো হলে তাঁর পরামর্শেই ফাঁড়িতে অভিযোগ জানান। টাকার বিনিময়ে নকল কুপন বিনিময়ের কোনও চক্র এলাকায় চলছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।