Illegal Construction: হাতুড়ি হাতে নিজেই ‘অবৈধ’ নির্মাণ ভাঙলেন তৃণমূল কাউন্সিলর, তোলা দেওয়া হয়নি বলেই?

Illegal Construction: কাউন্সিলরের দাবি, নিকাশি ব্যবস্থায় অসুবিধা হচ্ছিল বলেই ওই সব নির্মাণ ভাঙার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

Illegal Construction: হাতুড়ি হাতে নিজেই 'অবৈধ' নির্মাণ ভাঙলেন তৃণমূল কাউন্সিলর, তোলা দেওয়া হয়নি বলেই?
দোকান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 20, 2022 | 4:35 PM

আসানসোল : হাতুড়ি হাতে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে উদ্যত হলেন খোদ কাউন্সিলর। ড্রেনের ওপর নির্মিত অবৈধ স্ল্যাব ভেঙে ফেলতে উদ্যত হলেন তৃণমূল কাউন্সিলর জিতু সিং। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হল এলাকায়। অভিযোগ, ব্যক্তিগত শত্রুতা মেটাতে অজুহাত দিয়ে এ ভাবে ভাঙচুল চালিয়েছেন কাউন্সিলর। দোকান মালিকের দাবি, তিনি তোলা দিতে আপত্তি জানানোতেই এই ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার আসানসোল পুরনিগমের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর রণবীর সিং ওরফে জিতু সিং-এর নেতৃত্বে ড্রেনের ওপর নির্মিত বেশ কিছু স্ল্যাব ভাঙার অভিযান শুরু হয়। ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁদের কিছু না জানিয়েই এ ভাবে আচমকা ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ব্যবসায়ীরা এই ঘটনার বিরোধিতা করেছেন। অন্যদিকে, কাউন্সিলরের অভিযোগ অভিযান চলাকালীন কিছু ব্যবসায়ী তাঁকে হেনস্থা করেছেন বলে পাল্টা অভিযোগ শাসক দলের।

বৃহস্পতিবার আসানসোলের ওই এলাকায় কিছু লোকজন নিয়ে ও হাতুড়ি নিয়ে গিয়ে চড়াও হন কাউন্সিলর। এই প্রসঙ্গে কাউন্সিলর রণবীর সিং বলেন, ‘অবৈধ ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে, যার ফলে জল নিকাশির ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। তাই এই অভিযান চালানো হলেও কিছু মানুষ অকারণে বাধা দিচ্ছেন।’ তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়, জনগণের সুবিধার জন্য এই কাজ করছেন তিনি, আর তাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর দাবি, বৃষ্টিতে বানভাসি হচ্ছে এলাকা। তিনি আরও জানান, আদালতের নির্দেশ অনুসারে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার জন্য কোনও নোটিস দেওয়ার প্রয়োজন নেই। দোকান ভাঙার ব্যাপারে মেয়র ও চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রতি বর্ষায় এই ওয়ার্ডে নিকাশির জন্য বাড়িতে বাড়িতে জল ঢুকে যায়। তিনজনের জন্য তো তিনশো জন ভোগান্তির শিকার হতে পারেননা। তাই বিশেষ অভিযান। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে বেআইনি দখলদারের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য নোটিশ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে এই ঘটনায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। পুরচেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনার কথা আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবো।

এ দিকে আসানসোল চেম্বার অব কমার্সের সদস্যরা বলেন, ‘এখানে হঠাৎ করে দোকানের সামনে ভাঙচুর করা হচ্ছে। কোনও ধরনের বেআইনি নির্মাণ হলে আগেই নোটিস দেওয়া উচিত ছিল।’ দোকানের মালিক অমর প্রসাদ বলেন, ‘উনি তোলা চাইতে এসেছিলেন। আমি দিইনি। এখন আমাকে টার্গেট করে আমার দোকানের তিনটি স্ল্যাব ভেঙেছে। পুরো ওয়ার্ডে আর কোথাও এই অভিযান হয়নি।’ তাঁর দাবি, নিকাশি ব্যবস্থার জন্য শুধুমাত্র দুটো দোকান কেন ভাঙা হবে?