Durgapur Busstand: বাসস্ট্যান্ডে কুপন বিলি করে তোলাবাজি, তৃণমূল কাউন্সিলরের ‘নেতৃত্বে’ বাসেই বিক্রি হচ্ছে গাঁজার পুরিয়া!
Extortion Case: দুর্গাপুর স্টেশন বাসস্ট্যান্ডে প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন রুটে প্রায় একশো থেকে দেড়শটির মতো মিনিবাস চলে। বেসরকারি বড় বাসের সংখ্যাও প্রায় পঞ্চাশ। আর বাইরে থেকে অটো টোটো ট্যাক্সি মিলিয়ে সেই সংখ্যা প্রতিদিন প্রায় দু'শোর মতো।
ঠিক কীভাবে চলছে এই ‘তোলাবাজি’? স্থানীয়রা বিশেষ করে বাসচালকরা জানিয়েছেন, একই ধরনের কুপন, নানা রঙে, নানা দরে বিক্রি হচ্ছে। অভিযোগ, কখনও তা বিক্রি করছে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন INTTUC কখনও বা বাস স্ট্যান্ড পরিচালন সমিতি। আলাদা আলাদা কুপনের আলাদা আলাদা দর। চারটাকা। পাঁচ টাকা। ছ’টাকা। তিনরকম দামের কুপন ছাপিয়ে বাসস্ট্যান্ডে আসা মিনিবাস, বেসরকারি বড় বাস বা বাইরে থেকে আসা টোটো ট্যাক্সি চালকদের থেকে জোর করে চলছে টাকা আদায়, অভিযোগ এমনটাই।
দুর্গাপুর স্টেশন বাসস্ট্যান্ডে প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন রুটে প্রায় একশো থেকে দেড়শটির মতো মিনিবাস চলে। বেসরকারি বড় বাসের সংখ্যাও প্রায় পঞ্চাশ। আর বাইরে থেকে অটো টোটো ট্যাক্সি মিলিয়ে সেই সংখ্যা প্রতিদিন প্রায় দু’শোর মতো। অর্থাত্, একদিনে অন্তত ৫০০ বাসে চলছে এই কুপন বিক্রি। অভিযোগ, কুপনের বদলে পুরিয়া করে দেওয়া হচ্ছে গাঁজা। এইভাবে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের দিকে। স্থানীয় ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও তিন নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিপুল সাহা এবং তাঁর অনুগামী আনন্দ রায়ের নেতৃত্বেই চলছে এই তোলাবাজি বলে অভিযোগ।
এক বাসচালকের কথায়, “আমাদের থেকে জোর করেই টাকা নেওয়া হয়। আমরা না চাইলেও টাকা দিতে হয়। শুনছি তৃণমূলের লোকেরাই এতে জড়িয়ে। তারাই জোর করে এসব করাচ্ছে। আমাদের হাত-পা বাঁধা। টাকা না দিলে গাড়ি চালাতে দেবে না। প্যাসেঞ্জার ভাগিয়ে দেবে।” কিন্তু, টাকার বদলে গাঁজার ব্যবসা? না, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি ওই বাসচালক।
যদিও, এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিপুল সাহাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বাসস্ট্যান্ড পরিষ্কার রাখতেই মূলত এই কুপন দেওয়া হয়। ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অনেকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছেন। বাসস্ট্যান্ডেরই পরিষেবা দিতে এই টাকা আদায় করা হয়। এখানে অন্য কোনওরকম কিছু চলে না।”
এদিকে, পাল্টা বিজেপি নেতা তথা দুর্গাপুর নগরনিগমের কাউন্সিলর চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বেই এই ‘কুকীর্তি’ চলছে। এরফলে নগরনিগমও রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই বেআইনি তোলাবাজি বন্ধ করতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পদ্মশিবির।
এদিকে, এদিনই দুর্গাপুর থানার পুলিশ ২৫ কেজি ৪০০ গ্রাম গাঁজা-সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত শেখ মইনুদ্দিনের বাড়ি দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার আরতী গ্রামে। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নীলডাঙা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
শুক্রবার ধৃতকে আসানসোল জেলা আদালতে পেশ করা হয়।
দেখুন ভিডিয়ো: