Crime: সাহায্যের নামে ATM-র পিন নম্বর জেনে নিত, তারপরই আসল ‘খেলা’ দেখাত মামা-ভাগ্নে
Crime: দুষ্কৃতীরা এটিএম কাউন্টারগুলিতে রেইকি করত। যে এটিএম কাউন্টারগুলিতে পিছিয়ে পড়া এলাকার মানুষজন বা অল্প শিক্ষিত গ্রাহকের বেশি আনাগোনা, তাঁদের সাহায্যের নামে এটিএম কার্ড ও পাসওয়ার্ড সহ নানা তথ্য জেনে নিত।
রানিগঞ্জ: এটিএম কাউন্টার থেকে টাকা তুলতে সমস্যায় পড়েছেন কেউ। পিন নম্বর দেওয়ার পরও টাকা বেরচ্ছে না। এইসব সমস্যায় ‘সাহায্যের’ হাত বাড়িয়ে দিত তারা। সাহায্য পেয়ে খুশি হতেন গ্রাহকরা। কিন্তু, তার আড়ালে যে প্রতারণা চক্র চলত, তা বুঝতে পারতেন না। যতক্ষণে বুঝতে পারতেন, অনেক তাঁর টাকা গায়েব হয়ে যেত। তদন্তে নেমে এটিএম প্রতারণা চক্রের ২ জনকে গ্রেফতার করল রানিগঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃত মামা-ভাগ্নেকে গ্রেফতারের পর সোমবার আসানসোল আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
গত ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত পুজোর দিনগুলিতে এই দুই দুষ্কৃতী হিরাপুর থানা এলাকায় চারটি এটিএম কাউন্টার ও আসানসোল দক্ষিণের পাঁচটি এটিএম কাউন্টার এবং আসানসোল উত্তরের চারটি এটিএম কাউন্টারে অভিনব উপায়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটাচ্ছিল। রানিগঞ্জ থানার পুলিশের কাছে দুষ্কৃতীদের ছবি সহ এই খবর আসে।
পুলিশ জানতে পারে, বছর আঠারোর জুনেদ আলি ও বছর আঠাশের আরমানুল আসানসোলের বোতল মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা এটিএম কাউন্টারগুলিতে রেইকি করত। যে এটিএম কাউন্টারগুলিতে পিছিয়ে পড়া এলাকার মানুষজন বা অল্প শিক্ষিত গ্রাহকের বেশি আনাগোনা, তাঁদের সাহায্যের নামে এটিএম কার্ড ও পাসওয়ার্ড সহ নানা তথ্য জেনে নিত। সেই তথ্য প্রতারণা চক্রের কাছে পৌঁছে দিত। এরপর হাতিয়ে নিত লক্ষ লক্ষ টাকা।
এই খবরটিও পড়ুন
রবিবার পুলিশ এই দু’জনকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সোমবার ধৃতদের আসানসোল জেলা আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।