Kazi Nazrul University: পুলিশি পাহারায় ৪৬ দিন পর কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকলেন উপাচার্য
Paschim Burdwan: সম্প্রতি রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। প্রায় ১ ঘণ্টা তাঁদের সাক্ষাৎপর্ব চলে। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে কোর্ট মিটিং ডাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আসানসোল: ৪৬ দিন পর কড়া পুলিশি পাহারায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকলেন উপাচার্য। একদিকে আন্দোলনকারীদের চিৎকার চেঁচামেচি, স্লোগান, অন্যদিকে পুলিশের কড়া পাহারা, এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকলেন আসানসোল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kazi Nazrul University) উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। হাইকোর্টের রায়ে আন্দোলন অনৈতিক। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে আন্দোলন তুলে নিতে হবে, নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। তারপরও আন্দোলন থামেনি। অবশেষে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের ঘরে যান উপাচার্য। বেরোনোর আগে উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী জানান, আগামী বুধবার তিনি বৈঠক ডাকবেন। একইসঙ্গে এই অচলাবস্থা কেটে যাবে বলেও আশাবাদী তিনি।
গত ৪৬ দিন ধরে আসানসোল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন চলছে। অধ্যাপক, অধ্যাপিকাদের সঙ্গে অশিক্ষক ও পড়ুয়াদের একাংশও এই আন্দোলনে শামিল। এর জেরে দিনের পর দিন বিঘ্নিত হচ্ছে পঠনপাঠন। এরপরই বুধবার হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পড়াশোনা বিঘ্নিত করে এই আন্দোলন করা যাবে না। উপাচার্যকেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দিতে হবে।
সম্প্রতি রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। প্রায় ১ ঘণ্টা তাঁদের সাক্ষাৎপর্ব চলে। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে কোর্ট মিটিং ডাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই রেজিস্ট্রারকেই অনৈতিকভাবে বরখাস্তের অভিযোগ তুলেছিলেন আন্দোলনকারীরা।
এমনকী রেজিস্ট্রারকে ক্যাম্পাসে ঢোকার অনুমতি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এই ঘটনাকে সামনে রেখেই প্রথম প্রতিবাদের স্ফুলিঙ্গ দেখা গিয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এদিকে ‘বরখাস্ত’ হওয়া রেজিস্ট্রারকেই আচার্য কোর্ট মিটিং ডাকার নির্দেশ দেন। যা নিয়ে আন্দোলনকারীরা কার্যত নৈতিক জয়ের আভাস পান। আর এইসব বিতর্কের মধ্যেই এদিন মাস পার করে ঢুকলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে।