Asansol By Election: এবার হারলেও চব্বিশের ভোটে আসানসোলে বিজেপিই জিতবে, ‘স্ট্যাম্প পেপারে’ লিখে দিলেন সুকান্ত মজুমদার
Sukanta Majumdar: একইসঙ্গে আসানসোলেও হারার পর সুকান্তের গলায় প্রত্যয়ের সুর, উপনির্বাচনের ফল যাই হোক ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপিই আসানসোলে জিতবে।
কলকাতা: বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দ্বিতীয় স্থানে বামেরা, কংগ্রেস তৃতীয় স্থানে। সব থেকে খারাপ ফল হয়েছে বিজেপির। জমানত জব্দ হয়েছে তাদের। বিজেপি পেয়েছে ১৩ হাজার ১৭৪ ভোট। অথচ তাদের পেতে হত ১৬ হাজারের বেশি ভোট। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, বালিগঞ্জে তাঁরা কোনও প্রতিযোগিতাতেই ছিলেন না। সংখ্যালঘু ভোটের সমীকরণই এই কেন্দ্রে তৃণমূল, বামদের তুলেছে বলে দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে আসানসোলেও হারার পর সুকান্তের গলায় প্রত্যয়ের সুর, উপনির্বাচনের ফল যাই হোক ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপিই আসানসোলে জিতবে। সুকান্ত মজুমদারের কথায়, “এটা একটা উপনির্বাচন। এই উপনির্বাচনে অনেকগুলি ফ্যাক্টর কাজ করে। আমি তো এখনই স্ট্যাম্প পেপারে লিখে দিচ্ছি ‘২৪ এ আসানসোল লোকসভা আমরা জিতব।” যদিও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, তৃণমূল ৩০ শতাংশ, ৭০ শতাংশের ভাগাভাগি করে না। ১০০ শতাংশের জন্যই কাজ করে তাঁর দল।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বালিগঞ্জে তো আমরা প্রতিযোগিতাতেই নেই। ওখানে ৪০ শতাংশের উপরে সংখ্যালঘু ভোটার। স্বভাবতই সেখানে আমাদের প্রতিযোগিতায় থাকার কথা নয়। যাদের লড়ার তারা লড়েছে। তবে সংখ্যালঘু ভোটও তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে এখন ধীরে ধীরে কমছে। আগামিদিনে আরও কমবে বলে মনে হয়।” পাল্টা ফিরহাদ হাকিমের খোঁচা, “এই করে করে তো বিজেপি শেষ হয়ে যাচ্ছে। হিন্দু ভোট , মুসলমান ভোট নয়। আমরা ৩০ শতাংশ, ৭০ শতাংশের দল নই। আমরা ১০০ শতাংশের দল। তাই আমরা ১০০ শতাংশ মানুষকে আবেদন করেছি, যাঁরা গরম উপেক্ষা করে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা আমাদের ভোট দিয়েছেন।”
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি মুখে যতই সংখ্যালঘু ভোটের তত্ত্ব কিংবা উপনির্বাচনকে হালকাভাবে নিক, আড়ালে কি সাংগঠনিক দুর্বলতার দিকটাই ফুটে উঠছে। সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেন, “সাংগঠনিক ব্যর্থতা গাল ভরা শব্দ। এগুলো কোনও কাজে লাগে না। ২০১১ সালে তৃণমূল যখন ক্ষমতায় আসে, তৃণমূলের একটাও সংগঠন ছিল না। বামফ্রন্টের অনেক ভাল সংগঠন ছিল। তা হলে বামেরা কেন হারল? বামেরা তো সে সময় সাংগঠনিকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। আসলে নির্বাচন শুধু সংগঠনের উপর হয় না। আরও অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। ২০১১ সালই তা বুঝিয়ে দিয়েছে। তখন বামফ্রন্টের ক্যাম্প অফিসগুলোতে যে সংখ্যক মানুষ বসতেন, এক তৃতীয়াংশ লোক তৃণমূলের ক্যাম্পে ছিল না। তবু তৃণমূল জিতেছে।”
আরও পড়ুন: Ballygung By Election Counting: বালিগঞ্জে বড় চমক সায়রা শাহ হালিমের, বুদ্ধবাবুর ওয়ার্ডে সিপিএমের জয়