CLW: বিকট শব্দে কেঁপে উঠল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা চত্বর, কম্পন ২ কিমি এলাকা পর্যন্ত

Asansol: সূত্রের খবর, এই বিস্ফোরণের জেরে শপের সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার সত্যব্রত ধর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাছাড়া রামবাবু প্রসাদ নামে এক ঠিকা কর্মীও গুরুতর আঘাত পান বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

CLW: বিকট শব্দে কেঁপে উঠল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা চত্বর, কম্পন ২ কিমি এলাকা পর্যন্ত
চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় বিস্ফোরণ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2022 | 3:10 PM

পশ্চিম বর্ধমান: বিকট শব্দে কেঁপে উঠল চিত্তরঞ্জন (Chittaranjan) রেল ইঞ্জিন কারখানা ও সংলগ্ন এলাকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ রেল ইঞ্জিন কারখানার স্টিল ফাউন্ড্রির শপে ভয়াবহ শব্দে এক বিস্ফোরণ হয়। বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলেই দাবি শ্রমিকদের একাংশের। জানা গিয়েছে, কারখানার ভিতরে থাকা একটি চুল্লি ফেটে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।

এলাকার লোকজন জানান, সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ আচমকাই বিকট শব্দ শুনতে পান তাঁরা। বিস্ফোরণের জেরে কারখানা সংলগ্ন প্রায় দু’ কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। যে ফার্নেসটিতে বিস্ফোরণ ঘটে সেটি মূলত কোর ওভেন হিট ট্রিটমেন্ট চেম্বার হিসাবে পরিচিত। এখানে রেল ইঞ্জিন তৈরির জন্য বিভিন্ন যন্ত্রাংশ গলানোর কাজ চলে। সুতরাং পরিস্থিতি যে হাতের বাইরে চলে যেতে পারত, তা মনে করছেন কর্মীদেরও একাংশ।

সূত্রের খবর, এই বিস্ফোরণের জেরে শপের সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার সত্যব্রত ধর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাছাড়া রামবাবু প্রসাদ নামে এক ঠিকা কর্মীও গুরুতর আঘাত পান বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এই বিস্ফোরণের জেরে কারখানার শেড উড়ে যায় বলেও খবর। কারখানা থেকে প্রায় দু’ কিলোমিটার দূরে একটি পেট্রোল পাম্প রয়েছে। সেই এলাকাও কেঁপে ওঠে এদিন।

কারখানা সূত্রে খবর, ঘটনার খবর পেয়েই কারখানার জেনারেল ম্যানেজার সতীশকুমার কাশ্যপ ছুটে যান। কর্মরতদের সঙ্গে কথা বলেন। ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলার পরামর্শ দেন তিনি। ইনটাক নেতা নেপাল চক্রবর্তীদের অভিযোগ, স্টিল ফাউন্ড্রি শপের সমস্ত অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান অপারেটরদের রেল কর্তৃপক্ষ অন্যত্র বদলি করে প্রাইভেট সংস্থার কর্মীদের দিয়ে কাজ চালাচ্ছে। অভিজ্ঞতার অভাবেই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের। তাঁরা বলছেন, সেই সময় যদি একসঙ্গে অনেক শ্রমিক সেখানে উপস্থিত থাকতেন, তাহলে বড় বিপদ ঘটতে পারত। যদিও এই ঘটনায় চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।