Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Raju Sahani: জামিন পেলেও রাজু সাহানির ‘জেলমুক্তি’ এখনই নয়, হাইকোর্টের নির্দেশের পরও কোথায় ‘কাঁটা’?

Raju Sahani: গত ৩ সেপ্টেম্বর বর্ধমান সন্মার্গ চিটফান্ড মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করে রাজু সাহানিকে। তাঁকে ৫ দিনের জন্য হেফাজতে নেয় সিবিআই।

Raju Sahani: জামিন পেলেও রাজু সাহানির 'জেলমুক্তি' এখনই নয়, হাইকোর্টের নির্দেশের পরও কোথায় 'কাঁটা'?
গ্রেফতার রাজু সাহানি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2022 | 8:06 PM

আসানসোল: বর্ধমান সন্মার্গ ‘চিটফান্ড’ (Burdwan Sunmarg) মামলায় আসানসোল জেলা আদালতে আরও একটি চার্জশিট জমা পড়ল। সিজিএমের এজলাসে বুধবার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটটি জমা দেয় সিবিআই। এদিকে এই নয়া চার্জশিটের জেরে জামিন পেয়েও জেলে থেকে বেরোতে পারলেন না হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি। তিন সপ্তাহ পিছিয়ে গেল তা। আইনজীবী খুরশিদ আলম জানিয়েছেন, দু’দিন আগে কলকাতা হাইকোর্ট রাজু সাহানিকে জামিন দেয়। তবে সেই জামিনের অন্যতম শর্ত ছিল, তিনদিনের মধ্যে এই মামলায় সিবিআই যদি কোনও চার্জশিট আসানসোল আদালতে জমা দেয়, তাহলে তিনদিনের মধ্যে এই জামিন কার্যকর হবে না। সেক্ষেত্রে এই জামিন কার্যকর হবে ২১ দিন পরে। ফলে আপাতত ২১ দিন জেলেই থাকতে হবে রাজুকে।

এই মামলায় এখনও অবধি তিনটি চার্জশিট জমা পড়েছে আসানসোল আদালতে। সূত্রের খবর, বুধবার যে চার্জশিটটি জমা পড়েছে, সেটি প্রায় ৪০ পাতার। রাজু সাহানির পাশাপাশি এই চার্জশিটে নাম রয়েছে আরও তিনজনের। যার মধ্যে অন্যতম রাজু সাহানির ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী দুর্গাপুরের বাসিন্দা সঞ্জয় সিং ও রেখা চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই সূত্রে খবর, কীভাবে এই চিটফান্ড সংস্থার টাকা লোপাট হয়েছে, তাও বিস্তারিত রয়েছে এই চার্জশিটে। চিটফান্ড সংস্থার থেকে ‘আনডিউ বেনিফিট’ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে রাজু সাহানির বিরুদ্ধে। সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, বিদেশে তিনটি কোম্পানির ডিরেক্টর রাজু। যার সঙ্গে যোগ রয়েছে বর্ধমান সন্মার্গ ওয়েলফেসার সোসাইটির।

গত ৩ সেপ্টেম্বর বর্ধমান সন্মার্গ চিটফান্ড মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করে রাজু সাহানিকে। তাঁকে ৫ দিনের জন্য হেফাজতে নেয় সিবিআই। ৮ সেপ্টেম্বর সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন তোলা হয় আসানসোল জেলা আদালতে। এরপর থেকে আসানসোল জেলেই রয়েছেন হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান। এই মামলায় ২০১৪ সালে চারটি এফআইআর হয়েছিল পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কুলটি থানায়। পরবর্তী কালে আদালতে নির্দেশে ২০১৮ সাল থেকে এই মামলায় সিবিআই তদন্ত শুরু করে। তারা আলাদা করে একটি মামলা করে।