Jamuria: বউভাতের শেষপাতে খাবার দেওয়া নিয়ে ঝামেলা, ক্যাটারার কর্মীদের মারে মৃত্যু যুবকের

মৃত রবির দিদি আশা ঘোষ বলেছেন, “ক্য়াটারার কর্মীদের মারেই মৃত্যু হয়েছে আমার ভাইয়ের। খাবার দেওয়া নিয়ে শুরুতে এক বার অশান্তি হয়েছিল। তার পর ঘরে ঢুকে ওই ছেলে গুলো আবার মারধর করে।“

Jamuria: বউভাতের শেষপাতে খাবার দেওয়া নিয়ে ঝামেলা, ক্যাটারার কর্মীদের মারে মৃত্যু যুবকের
যুবকের মৃত্যুর পর বিয়েবাড়িতে শোকের ছায়া
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 14, 2022 | 6:26 PM

জামুরিয়া: বিয়ের বউভাতের অনুষ্ঠান। আমন্ত্রিতরা অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে খেয়ে ফিরে গিয়েছেন। আত্মীয়স্বজন ও বাড়ির লোকজনের তখনও খাওয়া বাকি। তাঁরা সকলে গিয়ে বসলেন খেতে। কিন্তু বেঁকে বসলেন ক্যাটারারের ছেলেরা। রাত হয়ে গিয়েছে বলে খাবার পরিবেশন করতে বেঁকে বসলেন তাঁরা। যার জেরে বরের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে শুরু হল বচসা। কিছুক্ষণের মধ্যেই বচসা গড়িয়েছিল হাতাহাতিতে। বরের আত্মীয় স্বজনের পাশাপাশি বাড়িতে ভাঙচুর চালানোরও অভিযোগ উঠেছে ক্য়াটারার কর্মীদের বিরুদ্ধে। তাঁদের মারের জেরেই আত্মীয়ের বাড়িতে আসা এক যুবকের মৃত্যু হয়। ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও ২ জন। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের জামুরিয়া থানার বাগডিহা গ্রামে। শনিবার সকালে রবি চৌধুরী নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

বাগডিহা গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণ চৌধুরী। শুক্রবার তাঁর বউভাত অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই ক্যাটারার কর্মীদের সঙ্গে কৃষ্ণের আত্মীয়দের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তাতেই আহত হন বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুর থেকে আসা রবি চৌধুরী (২৯)। পিঠে তাঁর গুরুতর আঘাত লেগেছিল। আহত অবস্থায় বাহাদুরপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু চিকিৎসার পর সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শনিবার সকালে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বুকে ব্য়াথা অনুভব করেন। তখন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের পরিবারের তরফে জামুরিয়া থানার অন্তর্গত কেন্দা ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ক্যাটারার লোকেরা।

মৃত রবির দিদি আশা ঘোষ বলেছেন, “ক্যাটারার কর্মীদের মারেই মৃত্যু হয়েছে আমার ভাইয়ের। খাবার দেওয়া নিয়ে শুরুতে এক বার অশান্তি হয়েছিল। তার পর ঘরে ঢুকে ওই ছেলে গুলো আবার মারধর করে।“ ক্যাটারার কর্মীদের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে পরিষেবা না দেওয়ার অভিযোগও এনেছেন তিনি। মৃতের পিসতুতো বোন প্রীতি চৌধুরী বলেছেন, “দাদা হাসপাতাল থেকে এসে শুয়ে পড়েছিল। সকালে উঠে বুকে হচ্ছিল দাদার। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা গিয়েছে।“ মৃতের পিসতুতো ভাই কাঞ্চন চৌধুরী বলেছেন, “ক্যাটারার সংস্থার কর্মীদের আটকাতে গিয়েছিল আমার ভাই। সে সময়ই তাঁকে মারধর করে। রাতে হাসপাতাল থেকে ওকে দেখিয়ে আনা হল। তার পর সকালে এ রকম হবে তা আমরা ভাবিনি।“ আনন্দ অনুষ্ঠানের পর এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে চৌধুরী পরিবারে। গোটা ঘটনায় হতভম্ব এলাকাবাসীও।