কয়লা পাচারকাণ্ডে আজও সকাল থেকে সিবিআই অভিযান
লালাকে খুঁজতে নেমে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য় হাতে আসছে তদন্তকারীদের।
TV9 বাংলা ডিজিটাল: কয়লা পাচারকাণ্ডে ফের সিবিআই (CBI) অভিযান। কয়লা ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে খুঁজতে নেমে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য় হাতে আসছে তদন্তকারীদের। মঙ্গলবারের পর বুধবারও পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Burdwan) একাধিক জায়গায় তল্লাশি চলেছে। আসানসোলের জামুড়িয়া, রানিগঞ্জ ও দুর্গাপুর থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। এই নিয়ে কয়লা পাচারকাণ্ডে তিনবার হানা দিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা। যদিও এখনও কোনও গ্রেফতারি নেই।
গত ২৮ নভেম্বর জামুড়িয়া, রানিগঞ্জ, পাণ্ডবেশ্বর-সহ ৩০টি জায়গায় অভিযান চালায় সিবিআই। প্রায় ৩০০ জন আধিকারিক ছিলেন দলে। এরপর গত মঙ্গলবারও চলে অভিযান। সূত্রের খবর, ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড লিমিটেড বা ইসিএল (ECL)-এর পাঁচজন আধিকারিক নজরে রয়েছে তদন্তকারীদের। এর মধ্যে চারজন রয়েছেন জেনারেল ম্যানেজার পর্যায়ের। সিবিআই-এর আতস কাচের নিচে রয়েছে একাধিক সিআইএসএফ আধিকারিকের নামও। ইতিমধ্যেই একাংশের আবাসন ও কর্মস্থলে তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: দলেই থাকছেন কি? শুভেন্দু কী বলেন নজর সেদিকেই
২০২০ সালের মে মাসে ইসিএল-এর অভ্যন্তরীন এক অডিট রিপোর্ট থেকে জানা যায় বেআইনি খনন হচ্ছে বাংলায়। শুরু হয় তদন্ত। প্রাথমিক রিপোর্টে দেখা যায় খনিতে চুরির অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। সম্প্রতি সেই রিপোর্টকে সামনে রেখেই তদন্ত শুরু করে সিবিআই। উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। দেখা যায়, টানা লকডাউনকে কাজে লাগিয়ে বড়সড় ফায়দা তুলেছে চোরা কারবারীরা।
গত ২৭ নভেম্বর অবৈধ কয়লা কারবার মামলায় ইসিএলের দু’জন জেনারেল ম্যানেজার-সহ পাঁচ আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছিল। তালিকায় ছিলেন ইসিএল-এর জেনারেল ম্যানেজার এ কে ধর, জে সি রাই, চিফ সিকিউরিটি অফিসার তন্ময় দাস, কাজোড়া এরিয়া সিকিউরিটি অফিসার দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় এবং কুনস্তরিয়ার সুরক্ষা আধিকারিক ধনঞ্জয় রাই। গত ২৮ নভেম্বর সিবিআইয়ের তল্লাশি চলাকালীন মৃত্য়ু হয় ধনঞ্জয় রাইয়ের।
আরও পড়ুন: সকলকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা কখনওই বলেনি সরকার: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব
শুধু বাংলাই নয়, ঝাড়খণ্ড-সহ চার রাজ্যে অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। এর আগে আয়কর বিভাগও অভিযানে নামে। শুধু পশ্চিম বর্ধমানই নয়, পুরুলিয়ার নিতুড়িয়াতেও তল্লাশি চলে। সেখানেই বাড়ি এই পাচারচক্রের ‘কিং পিন’ লালার। তিনি এখনও তদন্তকারীদের হাতের নাগালে না এলেও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে সিবিআই।